কলকাতা, 14 এপ্রিল: রাম নবমীতে রাজ্যে হিংসার পরিস্থিতি এড়াতে কমিশনের দ্বারস্থ হল নাগরিক সমাজ ৷ রাম নবমীর দিন রাজ্যজুড়ে বাড়তি নজরদারির আর্জি জানিয়ে শনিবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে আসেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। একইসঙ্গে হাওড়ার জেলা প্রশাসনকেও চিঠি দেয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি দল।
নাগরিক সমাজের দাবি, রাম নবমীর শোভা যাত্রা এবং অনুষ্ঠানে যাতে কোথাও কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা না-ঘটে, সেই বিষয় বাড়তি নজর দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রসূন ভৌমিক জানান, গত বছর হাওড়ার শিবপুরে রাম নবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছিল তার পুরনাবৃত্তি যেন না হয় ৷ এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেও হবে ।
সমাজের অপর সদস্য সুদেষ্ণা রায় জানান, নির্বাচন কমিশনকে ওইদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আবেদন জানানো হয়েছে । শোভাযাত্রা যাওয়ার রুটে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে । যারা উস্কানিমূলক বক্তব্যে রাখতে পারেন, তাদের উপরে নজর রাখার জন্যও কমিশনকে আবেদন জানান হয়েছে সমাজের পক্ষ থেকে । সুদেষ্ণা স্পষ্ট জানান, কোনও রাজনীতিক দলের হয়ে নয়, বরং সচেতন নাগরিক হিসেবে এই প্রস্তাব নিয়ে আজ এসেছেন কমিশনের কাছে ।
তিনি বলেন, "মিছিলে যাতে অস্ত্র নিয়ে না-আসা হয় সেই বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে । বিভিন্ন রাস্তায় যেখানে যেখানে শোভাযাত্রা বা অনুষ্ঠান হতে পারে, সেই সমস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হবে ৷ প্রয়োজনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে প্রশাসনকে । মিছিলের উপরে নজরদারি চালাতে হবে। কোনওভাবেই যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট না-হয় ৷ কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না-ঘটে সেবিষয়ে তৎপর হতে হবে কমিশনকে ।"
গত বছর রাম নবমীর দিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর ৷ গেরুয়া পোশাক পরে একদল অজ্ঞাত পরিচয়ের লোক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ চালায় । পালটা আক্রমণের পথে হাঁটে তারাও ৷ পরে কয়েকজনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের বিষয়টি সামনে আসে ৷ তাই এবারের রাম নবমী যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হয় সেই আরজি জানানো হয়েছে নাগরিক সমাজের তরফে ।
আরও পড়ুন: