শান্তিপুর, 7 নভেম্বর: ফেরিঘাটে ভাড়া নিয়ে বচসা, যার জেড়ে এক যুবককে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ঘাট মালিক ও শান্তিপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শান্তিপুর থানার মানিকনগর রানার সমবায় ফেরিঘাটে ঘটনাটি ঘটে ৷
বুধবার আনুমানিক দুপুর তিনটে নাগাদ মানিকনগর ফেরিঘাটে গঙ্গা পারাপার করতে যাচ্ছিলেন শুভ বসাক ও তাঁর বন্ধু। সেই সময় ভাড়ার খুচরো টাকা নিয়ে বচসা বাঁধে দুই পক্ষের মধ্যে। ওই যুবকের অভিযোগ, তাঁর কাছে খুচরো টাকা না-থাকায় ফেরার পথে বাকি টাকা মিটিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে জানান। আর এই নিয়েই বচসার সূত্রপাত। পরিস্থিতি পৌঁছয় হাতাহাতিতে ৷ তারপর ওই যুবকের হাত থেকে হেলমেট কেড়ে নিয়ে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ওই যুবকের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদন ঘাট থানার অন্তর্গত গৌরাঙ্গপাড়ায়। আক্রান্ত ওই যুবক পেশায় একজন শাড়ি ব্যবসায়ী। তিনি নিয়মিত এই ঘাট দিয়েই ব্যবসায়িক কাজে যাতায়াত করেন। এছাড়াও, ওই নাদনঘাট থানার ডাঙাপাড়া এলাকার ওই ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধেও। তিনি যখন ওই পাড়ে যান, তখন ফেরিঘাট মালিকের সঙ্গে বচসার খবর পেয়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারও পৌঁছন ৷ তারপরই মারধর করেন শাড়ি ব্যবসায়ীকে ওই যুবককে ৷
বর্তমানে এই ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছেন ওই যুবক। আগামিদিনও এই ঘাটে যাতায়াত করতে গেলে সমস্যায় পড়তে পারেন বলে তাঁর আশঙ্কা ৷ এদিকে, ওই ঘাট মালিক ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে দীর্ঘক্ষণ ধরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ ৷ যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদেরকে আটক করে নিয়ে যায়।