কলকাতা, 22 অগস্ট: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আজ থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল সিআইএসএফ ৷ এদিকে, আজ কাজে যোগ দিয়ে হাসপাতালের গৌরব ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন নয়া সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় ৷
আজ সকালেই সিআইএসএফ-এর বিরাট বাহিনী পৌঁছে যায় হাসপাতাল চত্বরে ৷ কোথায়, কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা ঠিক করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন সিআইএসএফয়ের ডিআইজি কুমার প্রতাপ সিং ৷ গুরুত্বপূর্ণ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক, হাসপাতালের নয়া অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্তারা ৷ সিআইএসএফয়ের ডিআইজি কুমার প্রতাপ সিং জানান, আজ থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হাসপাতালে মোতায়েন করা হয়েছে ৷
এদিকে, আজ কাজে যোগ দেন আরজি কর হাসপাতালের নয়া অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ও নতুন উপাধ্যক্ষ তথা সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় ৷ এদিন সিআইএসএফয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমি এই সবে এখানে পৌঁছে কাজে যোগ দিলাম । আশা করব, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের যে গর্ব ছিল, তা আবার ফিরে আসবে । সব ধরনের নিরাপত্তার বিষয় আমরা সুনিশ্চিত করব । হাসপাতালের প্রত্যেক কর্মীকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে । আমি আন্দোলনকারী নার্স ও চিকিৎসক সকলের সঙ্গে পরিচিত ৷ তাঁরা আরজি কর হাসপাতালকে আমার থেকেও ভালো চেনেন । সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যাবতীয় ব্যবস্থা নেব ৷"
উল্লেখ্য, 14 অগস্ট গভীর রাতে কীভাবে প্রায় 7000 লোক আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালাল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই নিয়ে কলকাতা পুলিশকে শীর্ষ আদালতের রোষের মুখে পড়তে হয় ৷ মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানির প্রথম দিনই সুপ্রিম কোর্ট আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেয় সিআইএসএফয়ের হাতে ৷ তারপরই এই নিয়ে শুরু হয় তৎপরতা ৷
গতকালও সিআইএসএফয়ের ডিআইজি কুমার প্রতাপ সিং হাসপাতালে এসে বৈঠক করেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ৷ নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে লালবাজারেও যান সিআইএসএফয়ের ডিআইজি ৷ লালবাজারে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন অ্যাডিশনাল সিপি পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন সিআইএসএফয়ের ডিআইজি কুমার প্রতাপ সিং ৷