মালদা, 28 সেপ্টেম্বর: রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এলাকা ছাড়তেই কার্যত লুঠ ত্রাণ ! নিছক দর্শকের মতো পুরো ঘটনাটি দাঁড়িয়ে দেখলেন প্রশাসনিক কর্তারা । শুধু তাই নয়, সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করলেন বিপর্য মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা । শনিবার এমনই ছবি ধরা পড়েছে মালদার মানিকচকে । বন্যা বিধ্বস্ত মালদা জেলার একাধিক এলাকা ৷ রাস্তা থেকে শুরু করে চাষের জমি-সব কিছুই জলের তলায় ৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার সকালে মানিকচকের গোপালপুর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । সঙ্গে নিয়ে যান লরি বোঝাই ত্রাণ সামগ্রী ৷
মথুরাপুর মডেল স্কুলে নিজে হাতে খানিক ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেন । এমনকী, নিজের ফোন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দুর্গতদের কাছে তুলেও ধরেন। মন্ত্রী এলাকা ছাড়ার পর দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলি শুরু হয়। প্রথমে সুষ্ঠভাবে ত্রাণ বিলির কাজ চললেও, কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে শুরু হয়ে যায় ঝামেলা ৷
ত্রাণ নিতে দুর্গতদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দুর্গতদের টেনে হিঁচড়ে লাইন ঠিক করতে শুরু করেন খোদ ডেপুটি পুলিশ সুপার । কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে যাঁরা ত্রাণ বিলি করছিলেন, তাঁরাও ত্রাণের সামগ্রী এদিক ওদিক ছুড়তে থাকেন । এরপর যে যেমন পেরেছেন, মাথায় ত্রাণের বস্তা নিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় অগ্য়তা নিছক দর্শকের মতো পুরো ঘটনাটি দেখতে শুরু করেন সদর মহকুমা শাসক । পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দিও করেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
উল্লেখ্য, এদিন কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ ৷ তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গা ভাঙন রোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার উদ্যোগ নিতে বলছেন । কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চিত করে রেখেছে । গঙ্গা ভাঙন না হলে এই বাঁধটা যেত না । বাঁধ না কাটলে এই এলাকায় বন্যা দেখা দিত না । হাজার হাজার লোক ঘর ছাড়া হয়ে রয়েছে, সর্বস্ব হারিয়েছে । বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে ।"