কলকাতা, 31 মার্চ: যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ অন্যদিকে তৃণমূল এবং সিপিএমের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যথাক্রমে সায়নী ঘোষ এবং সৃজন ভট্টাচার্য। এবার এই কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। প্রার্থী হচ্ছেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী।
যাদবপুরের মত রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে লড়াই নিয়ে শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী চন্দ্রচূড় গোস্বামী জানিয়েছেন, যাদবপুর কেন্দ্র থেকে জয়ের ব্যাপারে 100 শতাংশ আশাবাদী দল। চন্দ্রচূড়ের কথায়, "যাদবপুর কেন্দ্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তাতে জনৈক নেত্রী ভগবান শিবের প্রতি যে কুরুচিকর কথা বলেছেন তাতে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। আর উপর আরও একটি দলের যিনি প্রার্থী হয়েছেন জনৈক পলাতক গঙ্গোপাধ্যায় ৷ যিনি শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বোলপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে ভোটের ফল বেরোনোর আগেই নিজের পার্টি-কর্মীদের নির্বাচনী হিংসায় বিপদের মধ্যে ফেলে দ্রুত গতিতে দিল্লি পালিয়ে গিয়েছিলেন। এহেন পরিযায়ী পাখিরা বসন্তের কোকিল সেজে আসে তারপর ভোটে হেরে আবার দিল্লিতে নিজের আখের গোছাতে ফিরে যায়। এই ধরনের প্রার্থী চয়ন করার ফলে এমনিতেই কর্মী-সমর্থকদের মনোবল তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।"
হিন্দু মহাসভার প্রার্থীর কথায়, "আরও একটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে লাল সন্ত্রাস তথা গণহত্যার কারিগর। সবাই জানে নেতাই, নন্দীগ্রাম, ধানতলা, বানতলা, বিজনসেতুতে আনন্দমার্গীদের গণহত্যা, সাইবাড়িতে হতভাগ্য মা'কে সন্তানের রক্তমাখা ভাত খাওয়ানো, মরিচঝাঁপিতে পূর্ববঙ্গীয় হিন্দুদের নৃশংসভাবে গণধর্ষণ এবং গণহত্যা করার মত ঘটনায় এদের হাত রক্তরঞ্জিত।" এই অবস্থায় যাদবপুরের ভোটাররা মুক্ত হস্তে উজাড় করে ভোট দিয়ে হিন্দু মহাসভাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন বলেই চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বিশ্বাস। ইতিমধ্যেই প্রচারের জন্য পায়ে হেঁটে প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাওয়ার জনসংযোগ কর্মসূচিও শুরু করেছেন চন্দ্রচূড়। লোকসভার মত এত বড় নির্বাচনে ভোটের খরচ বহন করার ক্ষমতা হিন্দু মহাসভার নেই তাই ভোটের খরচ বহন করতে চন্দ্রচূড় কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাধুকরীর পাশাপাশি চা এবং সরবত বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: