চন্দননগর, 5 ডিসেম্বর: ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট খুনের প্রমাণ মেলেনি । টানা সাড়ে 6 ঘণ্টা জেরা শিশুটির বাবা-মা ও দিদিকে ৷ শিশুর রহস্যমৃত্যু প্রসঙ্গে মায়ের কথার মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানালেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি ।
তাঁর বক্তব্য, বাড়িতে ডাকাতি হওয়ার কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ । 6 বছরের শিশু নিখিলের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে । তবে পুলিশ এই রহস্যমৃত্যুর তদন্ত করবে ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের পর শিশুর দেহ কুণ্ডুঘাটের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ৷
চন্দননগর কুণ্ডুঘাটে নিজের বাড়িতে নবকুমার বিশ্বাসের ছেলের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় । বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ডাকাতি ও খুনের দাবি করেছিল পরিবার । তার ভিত্তিতে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশের বড়কর্তারা তদন্তে নামেন ।
প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শিশুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, "শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না । তা সত্ত্বেও আমরা ময়নাতদন্ত করিয়েছি । ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে । শিশুর মা-দিদি ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কোথাও খুনের ইঙ্গিত মেলেনি । শিশুটিকে মারা হয়েছে এমনও বলা হয়নি । শিশুটির নার্ভের সমস্যা ছিল । আমরা অন্য মতামতও নেব । ফ্লুইড ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে । আমরা শিশুর মাকে কাউন্সেলিং করে কথা বলেছি । ওনার কথার মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে । কথার পরিবর্তন হচ্ছে সব সময় । যেভাবে দরজা বন্ধ ছিল যেখানে বাইরে থেকে লোক ঢোকা সম্ভব না । শিশুর মা সকালে 45 হাজার টাকা ও গয়না চুরির অভিযোগ করছেন । পরে খুঁজে 10 হাজার টাকা পেয়েছেন অন্য জায়গা থেকে । তাঁরা কোনও চুরির অভিযোগ করেনি এখনও । আপাতত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে । আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে । আপাতত কোন ডাকাতির তথ্য পাইনি ।"
তিনি আরও জানান, আপাতত কোনও খুন বা জোর করে ঘরে ঢোকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি । তদন্তের অগ্রগতি হলে জানানো হবে । অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু হয়েছে ৷ এরপর যদি অভিযোগ করা হয় যে সোনা, টাকা-পয়সা বাড়ি থেকে খোয়া গিয়েছে তাহলে সেটার এফআইআর করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ।