আমেরিকায় র্যাবিট ফিভারের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে । র্যাবিট ফিভার যা টুলারেমিয়া নামেও পরিচিত এই রোগ ৷ এটি একটি জুনোটিক রোগ যা খরগোশ এবং অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে । এই রোগটি গুরুতর হতে পারে এবং জ্বর, ক্লান্তি ও ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে । জেনে নিন, কী এই ব়্যাবিট ফিভার ? কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব ?
ব়্যাবিট ফিভার কী (What Is Rabbit Fever) ?
টুলারেমিয়া যা সাধারণত ব়্যাবিট ফিভার নামে পরিচিত ৷ এটি একটি গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যা ফ্রান্সিসেলা টুলারেন্সিস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট । এই ব্যাকটেরিয়া মূলত খরগোশ, ইঁদুর এবং অন্যান্য ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে পাওয়া যায় । মানুষের মধ্যে সংক্রমণ সংক্রামিত প্রাণীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, তাদের কামড়, সংক্রামিত মাংস খাওয়া ইত্যাদির কারণে হতে পারে ৷ এছাড়াও সংক্রামিত মাটি বা জলের সংস্পর্শের মাধ্যমেও এই রোগ হতে পারে ।
টুলারেমিয়া একটি গুরুতর সংক্রমণ হতে পারে ৷ এটি বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে জীবনে অনেক ঝুঁকি হতে পারে ৷ চিকিৎসকদের মতে, এই রোগ সাধারণত পাঁচ থেকে নয় বছর সয়সি শিশুদের বেশি দেখা যায় ৷ এছাড়ও বয়স্ক ও শারিরীক সমস্যার কোনও মানুষদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায় ৷
এই রোগের লক্ষণ: খুব বেশি জ্বর, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, সংক্রমণের স্থানের কাছাকাছি লিম্ফ নোডগুলি ফুলে ওঠে এবং ব্যথা হতে পারে, ত্বকের সংক্রমণ, গলা ব্যথা, ফোলা, চোখ জ্বালা, চোখের লালভাব, গুরুতর ক্ষেত্রে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে ৷ এছাড়াও কোনও কোনও সময় বমির ভাবও থাকতে পারে ৷
র্যাবিট ফিভার অ্যান্টি-বায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয় । ফলে সংক্রামিত প্রাণীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন । খরগোশ বা অন্যান্য ছোট প্রাণীদের সঙ্গে আচরণ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন । মৃত প্রাণী স্পর্শ করা উচিত নয় । পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে বাজারে পাওয়া ওষুধ ব্যবহার করুন ।
র্যাবিট ফিভার একটি গুরুতর রোগ তবে সময়মতো চিকিৎসা করলে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব । আপনি কোনও সমস্যা বা এই ধরণের কোনও লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন ৷
https://www.cdc.gov/tularemia/about/index.html
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)