কলকাতা, 13 জানুয়ারি: নতুন স্যালাইন এসে পৌঁছল এসএসকেএম হাসপাতালে ৷ বদলে দেওয়া হল ওই নিষিদ্ধ হওয়া রিঙ্গার লক্টেড স্যালাইন। এসএসকেএম হাসপাতালের সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোরে আনা হল লখনউ'র একটি কোম্পানিতে তৈরি হওয়া নতুন এই স্যালাইন। তবে এই স্যালাইন সরবরাহ করা হয়েছে রাজারহাটের ইন্ডিয়ান ড্রাগ হাউস কোম্পানির পক্ষ থেকে ৷ এবার থেকে এই স্যালাইন দেওয়া হবে রোগীদের। যা মঙ্গলবার সকালেই এসএসকেএম হাসপাতাল-সহ একাধিক সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার ফের বৈঠক বসছে 13 সদস্যে তদন্ত কমিটি। তার আগে আজই এই কমিটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা স্বাস্থ্য ভবনে ৷ দুপুর 12টা থেকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। বেশ কিছু বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। সেই সময়ে অপারেশন থিয়েটারে একজন সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন নাকি জুনিয়র চিকিৎসকদের দ্বারা ওই প্রসুতির অপারেশন হয়েছিল। সেই সব খতিয়ে দেখছেন তদন্ত কমিটি সদস্যরা। সেই রিপোর্ট আজ জমা দেওয়া হবে।
রবিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ থেকে 3 প্রসূতি নিয়ে আসা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। এদের মধ্যে একজন প্রসূতির ডায়ালিসি হয়েছে রবিবারই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজেই । বর্তমানে এই তিনজনই এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 19 বছর বয়সি নাসরিন খাতুনকে আইটিইউ-র 6 নম্বর বেডে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট সিস্টেমের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে ৷ 23 বছর বয়সি মাম্পি সিংহ সিসিইউ-র 13 নম্বর বেডে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট সিস্টেমে রয়েছেন ৷ আর 31 বছর বয়সি মিনারা বিবিকে সিসিইউ-র 14 নম্বর বেডে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে ৷
গতকাল রাত থেকেই তাঁদের চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া হয়েছে। গাইনোকোলজিস্ট, নেফ্রলজিস্ট, অনাস্তেসিয়া মিলিয়ে পাঁচটি সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। যদিও তাঁদের শারীরিক অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ তাই এই তিন জনকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে ৷