কলকাতা, 21 মার্চ: গত পয়লা মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে 3 কোটি 95 লক্ষ 84 হাজার নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসার সময়ই সমস্ত জেলা শাসক এবং নির্বাচনী আধিকারিকদের উদ্দেশে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ নির্বাচন সংক্রান্ত আয়-ব্যয়ের উপর কড়া নজরদারি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল ৷
নির্বাচনের ক্ষেত্রে যাতে কোনওভাবেই বেহিসাবি টাকা ব্যবহার না হয়, সেই বিষয়ে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করেছে কমিশন। এর পাশাপাশি বেআইনিভাবে পাচার করতে গিয়ে মোট 23 কোটি 23 লক্ষ 31 হাজার টাকার মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, 1 মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে 11 কোটি টাকারও বেশি মাদক ধরা পড়েছে রাজ্যে।
এবার প্রথম নির্বাচনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কেও ব্যবহার করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, গার্ডেনরিচে অবৈধ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে মেয়র ফরহাদ হাকিম যে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন সেই ঘোষণা নিয়ে নির্বাচনী আদর্শ আচরন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে রাজ্যের প্রধান বিরোধ দল। বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এই মর্মে কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছ থেকে এই বিষয়ে রিপোর্ট পেয়েছে ৷ সেই রিপোর্ট জাতীয় নির্বাচন কমিশনেও পাঠানো হয়েছে। এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
পাশাপাশি যে তিন জেলায় আগামী 19 এপ্রিল নির্বাচন হবে, সেই সব কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ কমিশন সূত্রে খবর, বুধবার রাত 12টা পর্যন্ত তিন জেলা মিলিয়ে একটি মাত্র মনোনয়ন জমা পড়েছে ৷ জলপাইগুড়িতে বহুজন সমাজ পার্টির তরফে বিনোদ মল্লিকের মনোনয়ন জমা পড়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে 150 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। তাদের রুট মার্চের কাজে ব্যবহার করাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে ৷
কমিশনের দাবি, ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কমিশন এক লক্ষ 90 হাজারেরও বেশি আদর্শ আচরণবিধি নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের সমাধান করা করেছে। অন্যদিকে, এদিন যে চার জেলার জেলা শাসকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে নতুন আধিকারিকের জন্য কমিশন নতুন নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে ৷ সি-ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে 337টি অভিযোগ পড়েছে। ফ্লাইং স্কোয়াড মুভ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে।
আরও পড়ুন: