কলকাতা, 10 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে সিবিআই ৷ দেহ উদ্ধারের পর পর ঘটনাস্থলে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে এবার কথা বলতে চায় সিবিআই। এছাড়াও, সেই সময় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলতে চলেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
এরই সঙ্গে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত যাঁরা দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন এবং মৃত চিকিৎসকের দেহের ও ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করেছিলেন, এবার তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা ৷ পাশাপাশি এদিনই হাসপাতালে আসেন সিবিআই-এর একটি দল। তাঁরা সোজা চলে আসেন, আরজি করের বর্তমান এমএসভিপি ও আধিকারিকদের ঘরে। তাদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। পরে তারা যান হাসপাতালের সেমিনার হলের চার তলায়। সেখানে ফের একবার ঘুরে দেখেন তারা। একপ্রস্থ ভিডিয়োগ্রাফিও করেন।
ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন সন্দীপ ঘোষ আগে থেকেই তাঁর গাড়ির চালককে ফোন করে রেখেছিলেন। সন্দীপের গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা এও জানতে পারেন যে, ঘটনার দিন সন্দীপ সকাল ছ'টা নাগাদ তাঁর গাড়ি চালককে ফোন করেন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সন্দীপ ঘোষ গোটা ঘটনাটি সকাল 10 টার আগেই জেনে গিয়েছিল ? এই নিয়ে ফের একবার তদন্তে গতি আনতে চলেছে সিবিআই ৷
এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটপে থাকা আরজি কর হাসপাতালে ফের তাণ্ডব চলল ৷ হাসপাতালে তাণ্ডব চালাল বহিরাগতরা । হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে সিআইএসএফ-এর হাতে ৷ তা সত্ত্বেও এক পড়ুয়া চিকিৎসকের হস্টেলের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে ৷ এই নিয়ে টালা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ যদিও এই বিষয়ে লালবাজারের পক্ষ থেকে এখনও কিছু স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি।