কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: 23 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষ-সহ 4 জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ৷ সিবিআই নিজেদের হেফাজতে চাইলই না আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ৷ এমনকী শুনানির সময় বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থাকে ৷
সিবিআই আইনজীবীর তরফে এ দিন আদালতে জানানো হয়, পরে প্রয়োজন হলে সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে চাওয়ার আবেদন করবে তারা । এই কথা শুনেই ভরা কোর্টরুমে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারক ৷ তিনি বলেন, "ভবিষ্যতের রায় কী হবে, তা এখন থেকেই ঠিক করতে চাইছেন?" এরপরেই চারজনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ৷
মঙ্গলবার আলিপুরে বিশেষ আদালতের বিচারক প্রথমেই আরজি কর দুর্নীতি-কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ-সহ চারজনকে জিজ্ঞাসা করেন, হেফাজতে থেকে আপনাদের কোনও অসুবিধা হয়নি তো ! উত্তরে সন্দীপ ঘোষের তরফে বলা হয়, অসুবিধা হয়নি ৷ এরপর বিপ্লব সিংহের আইনজীবী তাঁর বেশ কিছু জিনিসপত্র ফেরত চাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন ৷ সে আবেদন দেখে কিছুটা মেজাজ হারান বিচারক ৷
আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে আদালত চত্ত্বরে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলা আইনজীবীরা ৷ বিক্ষোভের মুখে পড়েন সন্দীপ ঘোষ ৷ তাঁর ফাঁসির দাবি জানান আইনজীবীরা ৷ 'চোর চোর' স্লোগান ওঠে বিক্ষোভকারীদের তরফে ৷ এর ফলে সন্দীপ ঘোষ-সহ ধৃত 4 জনকে আদালত থেকে বের করতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে ৷ বেশ কিছুক্ষণ ভিতরে থাকার পর শেষে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় কোনও রকমে বাইরে বার করা হয় সন্দীপ ঘোষকে ৷ পরে তাঁকে তড়িঘড়ি কলকাতা পুলিশের প্রিজেন ভ্যানে তোলা হয় ৷ সেখান থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পথে নিয়ে যাওয়া হয় সন্দীপকে ৷