দার্জিলিং, 26 সেপ্টেম্বর: এসএসবির কনস্টেবল পদে পরীক্ষা দিতে আসা ভিন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ। আটক বাংলা পক্ষের এক সদস্য। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। আটক ওই বাংলাপক্ষের সদস্যের নাম রজত ভট্টাচার্য। তিনি শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 32 নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিগড়ের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গত মঙ্গলবারের। শিলিগুড়ি সংলগ্ন রাঙাপানিতে থাকা এসএসবির নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারে এসএসবির কনস্টেবল পদের শারীরিক পরীক্ষার দিন নির্ধারিত ছিল। সেই পরীক্ষা দিতে আসেন বিহারের বহু চাকরিপ্রার্থী। বেশিরভাগই ছিল বিহারের পটনা ও দানাপুরের যুবকরা। অভিযোগ, সেই সময় লাইনে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের বহিরাগত বলে তাঁদেরকে হুমকি দেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুক্ষণ সেখানে বচসাও চলে। এরপর রাতে রজত ভট্টাচার্য-সহ আরও বেশ কয়েকজন নিজেদের পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (IB) কর্মী পরিচয় দিয়ে স্থানীয় হোটেলে ঢুকে বিহারের ওই চাকরিপ্রার্থীদের হুমকি দেয় ও হেনস্তা করে বলে অভিযোগ।
बंगाल में रोहिंग्या मुसलमान के लिए रेड कारपेट और परीक्षा देने गए बिहार के बच्चे के साथ मारपीट ?
— Shandilya Giriraj Singh (@girirajsinghbjp) September 26, 2024
क्या ये बच्चे हिंदुस्तान के अंग नहीं?
क्या ममता सरकार ने सिर्फ बलात्कारियों को बचाने का ठेका ले रखा है?@SuvenduWB pic.twitter.com/FVyOhSn5aw
ওই ঘটনার ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। এক্স হ্যান্ডেলে ওই ঘটনা নিয়ে সরব হন কেন্দ্রীয় মন্দ্রী গিরিরাজ সিং। এরপরই নড়েচড়ে বসে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। বৃহস্পতিবার রজত ভট্টাচার্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় একদিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে, পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই বিষয়ে অবশ্য বাংলা পক্ষের আহ্বায়ক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সামরিক, আধা সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন পরীক্ষায় ভিন রাজ্যের অনেক চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের বাংলার বাসিন্দার জাল নথি তৈরি করে বাংলায় পরীক্ষা দিতে আসে। এতে এরাজ্যের যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। আর আমাদের সংগঠনের সদস্য তা নিয়েই কথা বলেছে। এখানে জাতি বা সম্প্রদায় বিভেদের কোনও ব্যাপার নেই ।" শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, "বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।"