কলকাতা, 22 অক্টোবর: ব্যারাকপুর কমিশনারেটের হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডাকে কেন ডিউটি দেওয়া হচ্ছে না ? রিপোর্ট দিয়ে জানাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দ এই নির্দেশ দিয়েছেন । জানিয়েছেন, পুজোর ছুটির পর কলকাতা হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চেই হবে এই মামলার শুনানি ।
এদিন কাশীনাথ পাণ্ডার তরফে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, আরজি করের প্রতিবাদে ফেসবুকে 'বসন পরো মা' এই গানটি একটি ছবি-সহ পোস্ট করেছিলেন । এরপর 21 অগস্ট থেকে তাঁকে ডিউটি দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় ।
কাশীনাথ পাণ্ডা একজন অস্থায়ী হোমগার্ডের কাজ করতেন । তাঁকে অবিলম্বে চাকরিতে নিযুক্ত করা হোক । উনি ব্যারাকপুর কমিশনারেটে চাকরি করতেন ।
এই বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য, অস্থায়ীভাবে চাকরিতে নিযুক্ত ছিলেন কাশীনাথ । তাঁর যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে কর্মচারীদের ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জানাতে পারেন । তারপরই বিচারপতি জানান, রাজ্য রিপোর্ট দিক আগে তারপর আদালত এই বিষয়ে নির্দেশ দেবে ।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট তাদের নির্দেশে একাধিকবার জানিয়েছে আরজি কর নিয়ে বিশেষত অভয়ার নাম ও ছবি প্রকাশ করে সমাজমাধ্যমে যেন কোনও পোস্ট না করা হয় । সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সকে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন এই সংক্রান্ত সব পোস্ট যেন মুছে দেওয়া হয় । ফেসবুকে অভয়ার নাম ও ছবি প্রকাশ করার জন্য কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল । যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে । বিনীত গোয়েলের কাছে এই বিষয়ে আদালত জবাবদিহিও চেয়েছে । এছাড়াও এই বিষয়ে ফেসবুকে পোস্টের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজার থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল । একইসঙ্গে বেশ কিছু ডাক্তারকেও পুলিশের তরফে সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ।