কলকাতা, 10 জানুয়ারি: আদালতের নির্দেশ না-মানায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনের বিরুদ্ধে রুল জারি করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। 2009 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উত্তর 24 পরগনা জেলায় মোট 878 জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তিনি 2024 সালের 25 এপ্রিল এই নির্দেশ দিলেও তা এখনও পালন না-করায় এবার স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
আগামী 22 জানুয়ারি তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হবে ৷ বাম আমলের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে মোট 4টি জেলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ৷ দুই 24 পরগনা, হাওড়া ও মালদা জেলায় নিয়োগ হবে বলে ঠিক হয়। হাওড়া জেলায় ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মালদা জেলার বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আর এক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনার নিয়োগ নিয়ে।
2009 সালের নিয়োগে গলদ থাকায় বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে পরীক্ষা নিয়েছিল। কিন্তু সেই প্যানেল আর প্রকাশিত হয়নি। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী 2021 সালে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী প্যানেল প্রকাশিত হলেও মামলার কারণে নিয়োগ বন্ধ ছিল। চাকরিপ্রার্থীরা হাইকোর্টে মামলা করেন।
এরপর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা গত বছর 25 এপ্রিল 878 জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এখনও সেই নির্দেশ পালন না-করায় আদালত অবমাননার মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন। তাঁকে আগামী 22 জানুয়ারি আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।