কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: সন্দশেখালি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদনে খারিজ করে দিল আদালত ৷ সোমবার সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ৷ মামলাটির জরুরিভিত্তিতে শুনানির আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "মামলাকারী কে ? কোনও সমাজকর্মী ? কোনও বিশেষ ব্যক্তি ? আপনি নিজে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন ?"
উত্তরে আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত বলেন, "না, তিনি যাননি ৷ তবে ওখানে পরিস্থিতি আলাদা ৷" প্রধান বিচারপতি তখন বলেন, "সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে জনস্বার্থ মামলা করছেন ? সিঙ্গল বেঞ্চ আজ সন্দেশখালির মামলা শুনবে ৷ সেটা আগে দেখুন ৷" প্রধান বিচারপতিকে আইনজীবী তখন বলেন, "শুধু মিডিয়া রিপোর্ট নয় ৷ রাজ্যপালের রিপোর্টও রয়েছে মামলায় ৷" প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, "লিস্টে এলেই মামলা শোনা হবে ৷"
গত শুক্রবার এই আইজীবীই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সন্দেশখালি এলাকায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে মামলা করেন ৷ যেহেতু বিষয়টি জনস্বার্থ মামলা সেই জন্য মামলাকারী প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি শোনার আর্জি জানিয়েছিলেন ৷ সেদিনও মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে শোনেননি প্রধান বিচারপতি ৷ আজ সেই মামলার শুনানির কথা থাকলেও তা হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে ৷
এদিকে সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর উঠে পড়েন ৷ সেখানেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান ৷ পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ তিনি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ৷ সেই অভিযোগ পেয়ে লোকসভার এথিক্স কমিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা, ডিজি রাজীব কুমার ও অন্য শীর্ষ আধিকারিকদের তলব করেছিল ৷ তবে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালে সেই আবেদনে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷
আরও পড়ুন: