কলকাতা, 21 জানুয়ারি: রাজ্যের একাধিক জেলায় বেআইনি নিয়োগ ও পাহাড়ে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগে সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের। অভিযোগের যদি সারবত্তা থাকে তাহলে তারা এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে। বুধবার মৌখিকভাবে এমনটাই জানালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আগামী সোমবার সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর এই ব্যাপারে লিখিত নির্দেশ দেবেন বিচারপতি। পাশপাশি, বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যদি মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ও স্কুল সার্ভিস কমিশন তথ্য দিতে না পারে, নথি নষ্ট করে তাহলে ওদের অফিস আর রেখে কি দরকার? দফতরে তাহলে তালা মেরে দেওয়াই ভালো।"
সিবিআই-ইডিকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। কারণ বিচারপতি বসু জানালেন, যেভাবে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে তাতে আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ রয়েছে। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা মিলছে না বলে সিআইডির ডিআইজি আদালতে জানান। কারণ বহু তথ্য প্রমাণ তাঁরা দিতে পারছে না বলেও অভিযোগ। ফলে তদন্ত ব্যাহত হচ্ছে। এই সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট দিতে আরও 15 দিন সময় চেয়েছে তারা।
শুধু 2016 নয়, এখন দেখা যাচ্ছে 2011 সালেও এই রকম বেআইনি নিয়োগ হয়েছে? এতেই বিস্মিত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক চিঠি ও জিটিএ-তে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে চিঠি বিচারপতি বসুর কাছে এসেছে সেই ব্যাপারে সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদীকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মৌখিকভাবে জানালেন নিয়োগ দুর্নীতিতে যেহেতু সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে, এই ব্যাপারেও তারাই প্রাথমিক অনুসন্ধান করুক।
জিটিএ-তে 700 জনের বেশি প্রার্থীকে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি চিঠি দিয়েছিলেন বিচারপতি বসুকে ৷ যেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর নাম উল্লেখ করে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের তরফে জানান, বেআইনি নিয়োগ হয়েছে জানা সত্ত্বেও রাজ্য এদের বেতন দিচ্ছে । অবিলম্বে এদের বেতন বন্ধ করার ব্যবস্থা করুক রাজ্য। বিচারপতি বসু বলেন, "চিঠির বিষয়ে সিবিআই প্রাথমিক অনুসন্ধান করে যদি মনে করে অভিযোগের সারবত্তা আছে বা গুরুতর অভিযোগ তাহলে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে। একইসঙ্গে আগামী সোমবার রাজ্য জানাবে সিআইডি এখনও পর্যন্ত কী কী তদন্ত করেছে।"
আরও পড়ুন: