ETV Bharat / state

নন্দীগ্রামে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের আপাতত সুরক্ষাকবচ হাইকোর্টের - Calcutta High Court

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 26, 2024, 2:48 PM IST

Updated : Jun 26, 2024, 5:53 PM IST

Calcutta High Court: নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে 47টি এফআইআর-এ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও পদক্ষেপ না-করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

ETV BHARAT
আপাতত সুরক্ষাকবচ হাইকোর্টের (ফাইল চিত্র)

কলকাতা, 26 জুন: নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে 47টি এফআইআর নিয়ে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট রাজ্যকে 2 জুলাই আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা । এই সময়ের মধ্যে পুলিশ ওই 47টি অভিযোগের ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে না বলে অ্যাডভোকেট জেনারেল আশ্বাস দিয়েছেন ।

উল্লেখ্য, 14 মে থেকে 1 জুন একই থানায় 47টি এফআইআর হয়েছে । এর প্রায় সবক'টি মামলা বিজেপি নেতা-সমর্থকদের বিরুদ্ধে । মাত্র দু'সপ্তাহের মধ্যে এতগুলো এফআইআর । যার সবক'টি ওপেনএনডেড এফআইআর। অর্থাৎ সেই এফআইআরের ভিত্তিতে যে কোনও সময় যে কোনও কারওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে, গ্রেফতার করা হতে পারে । আর সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা । বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হেনস্থা করতেই পুলিশ এটা করেছে বলে দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ।

এদিন সেই মামলার শুনানিতে বিরোধী দলনেতার আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া বলেন, এক মাস চার দিনে 47টি এফআইআর দায়ের হয়েছে নন্দীগ্রামে । শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থকের নাম সেখানে জড়িত । তার মধ্যে 34 জন বিজেপি নেতাকে একাধিক মামলায় যুক্ত করা হয়েছে । প্রায় একইরকম অভিযোগের বয়ান । প্রায় সবই ওপেন এন্ডেড এফআইআর । মিথ্যে মামলায় বিরোধীদের শায়েস্তা করতে এই পথ নেওয়া হয়েছে ।

তিনি আরও জানান, বসির আহমেদ নামে এক ব্যক্তি একাই 34টি মামলা দায়ের করেছেন । তৃণমূল নেতা দেবকুমার রায় দায়ের করেছেন বেশ কয়েকটি মামলা । অনিতা মণ্ডল নামে একজন অভিযোগ করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর মদতে তাঁর দোকান ভাঙচুর করে লুঠ করা হয় । সব ক্ষেত্রেই গালিগালাজ, প্রাণে মারার হুমকি কমন । আর প্রায় সব ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর মদতে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ।

শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি, শুধু এখনই নয়, নন্দীগ্রামে যখন শুভেন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয় পান, তারপরেও একইরকম ভাবে এফআইআর-এর বন্যা বয়ে গিয়েছিল । তাঁর বিরুদ্ধে খুব কম সময়ে 17টি মামলা হয় । কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই কোর্ট সব এফআইআর স্থগিত করে দেয় । সেই সময় এমন কিছু এফআইআর হয়, যেখানে অভিযোগকারীর ঠিকানা বা বাবার নাম ছিল না । কোর্টের নজরে সেই সব এসেছিল । এবার আর সেই ভুল প্রভাবশালী শক্তি করেনি । এমন ধরনের অভিযোগ জানানোর জন্য সেই সময়ে হাইকোর্ট পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে । হাইকোর্টের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হলেও তারা এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেনি ।

এ প্রসঙ্গে আজ রাজ্য তার বক্তব্য তুলে ধরে বলে, শুভেন্দু অধিকারীর এই মামলা করার এক্তিয়ার নেই । তিনি শুধু কিছু আশঙ্কা করছেন । হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । ফলে তাঁর বিরুদ্ধে যে পুলিশ এফআইআর করবে না সেটা তিনিও জানেন । একই হাতের লেখায় একাধিক অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যের যুক্তি, "বহু মামলায় কোর্ট নির্দেশ দেয়, অভিযোগ নিয়ে আসতে । সেখানেও একজন লোকই অভিযোগ লেখেন । অন্যরা তাতে সই করেন । পুলিশ অভিযোগ পেলে এফআইআর করতে বাধ্য । পরে তদন্তে যদি দেখা যায় অভিযোগ মিথ্যে, তখন পুলিশ সেই ভাবে রিপোর্ট দেবে । এখানে বেশ কিছু অভিযোগ আছে যেখানে বিজেপি সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন । এফআইআর এনসাইক্লোপিডিয়া নয় । ফলে প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্যের উপর অভিযোগ দায়ের হয়েছে । এখন পুলিশ তদন্ত করে নতুন তথ্য প্রমাণ জোগাড় করছে । পাহাড়ে বিমল গুরুঙের বিরুদ্ধে পুলিশ 105টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছিল ।"

বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, "ওপেন এনডেড এফআইআর কেন ? এই কারণেই যে কোনও সময় যে কোনও বিজেপি নেতা-কর্মীর গ্রেফতারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । নথি দেখে বোঝা যাচ্ছে কোনও পেশাদার লোক এফআইআর-এর ফরম্যাট করে দিয়েছেন । 2 জুলাই রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে । ইতিমধ্যে কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না ।"

কলকাতা, 26 জুন: নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে 47টি এফআইআর নিয়ে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট রাজ্যকে 2 জুলাই আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা । এই সময়ের মধ্যে পুলিশ ওই 47টি অভিযোগের ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে না বলে অ্যাডভোকেট জেনারেল আশ্বাস দিয়েছেন ।

উল্লেখ্য, 14 মে থেকে 1 জুন একই থানায় 47টি এফআইআর হয়েছে । এর প্রায় সবক'টি মামলা বিজেপি নেতা-সমর্থকদের বিরুদ্ধে । মাত্র দু'সপ্তাহের মধ্যে এতগুলো এফআইআর । যার সবক'টি ওপেনএনডেড এফআইআর। অর্থাৎ সেই এফআইআরের ভিত্তিতে যে কোনও সময় যে কোনও কারওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে, গ্রেফতার করা হতে পারে । আর সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা । বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হেনস্থা করতেই পুলিশ এটা করেছে বলে দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ।

এদিন সেই মামলার শুনানিতে বিরোধী দলনেতার আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া বলেন, এক মাস চার দিনে 47টি এফআইআর দায়ের হয়েছে নন্দীগ্রামে । শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থকের নাম সেখানে জড়িত । তার মধ্যে 34 জন বিজেপি নেতাকে একাধিক মামলায় যুক্ত করা হয়েছে । প্রায় একইরকম অভিযোগের বয়ান । প্রায় সবই ওপেন এন্ডেড এফআইআর । মিথ্যে মামলায় বিরোধীদের শায়েস্তা করতে এই পথ নেওয়া হয়েছে ।

তিনি আরও জানান, বসির আহমেদ নামে এক ব্যক্তি একাই 34টি মামলা দায়ের করেছেন । তৃণমূল নেতা দেবকুমার রায় দায়ের করেছেন বেশ কয়েকটি মামলা । অনিতা মণ্ডল নামে একজন অভিযোগ করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর মদতে তাঁর দোকান ভাঙচুর করে লুঠ করা হয় । সব ক্ষেত্রেই গালিগালাজ, প্রাণে মারার হুমকি কমন । আর প্রায় সব ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর মদতে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ।

শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি, শুধু এখনই নয়, নন্দীগ্রামে যখন শুভেন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয় পান, তারপরেও একইরকম ভাবে এফআইআর-এর বন্যা বয়ে গিয়েছিল । তাঁর বিরুদ্ধে খুব কম সময়ে 17টি মামলা হয় । কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই কোর্ট সব এফআইআর স্থগিত করে দেয় । সেই সময় এমন কিছু এফআইআর হয়, যেখানে অভিযোগকারীর ঠিকানা বা বাবার নাম ছিল না । কোর্টের নজরে সেই সব এসেছিল । এবার আর সেই ভুল প্রভাবশালী শক্তি করেনি । এমন ধরনের অভিযোগ জানানোর জন্য সেই সময়ে হাইকোর্ট পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে । হাইকোর্টের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হলেও তারা এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেনি ।

এ প্রসঙ্গে আজ রাজ্য তার বক্তব্য তুলে ধরে বলে, শুভেন্দু অধিকারীর এই মামলা করার এক্তিয়ার নেই । তিনি শুধু কিছু আশঙ্কা করছেন । হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । ফলে তাঁর বিরুদ্ধে যে পুলিশ এফআইআর করবে না সেটা তিনিও জানেন । একই হাতের লেখায় একাধিক অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যের যুক্তি, "বহু মামলায় কোর্ট নির্দেশ দেয়, অভিযোগ নিয়ে আসতে । সেখানেও একজন লোকই অভিযোগ লেখেন । অন্যরা তাতে সই করেন । পুলিশ অভিযোগ পেলে এফআইআর করতে বাধ্য । পরে তদন্তে যদি দেখা যায় অভিযোগ মিথ্যে, তখন পুলিশ সেই ভাবে রিপোর্ট দেবে । এখানে বেশ কিছু অভিযোগ আছে যেখানে বিজেপি সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন । এফআইআর এনসাইক্লোপিডিয়া নয় । ফলে প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্যের উপর অভিযোগ দায়ের হয়েছে । এখন পুলিশ তদন্ত করে নতুন তথ্য প্রমাণ জোগাড় করছে । পাহাড়ে বিমল গুরুঙের বিরুদ্ধে পুলিশ 105টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছিল ।"

বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, "ওপেন এনডেড এফআইআর কেন ? এই কারণেই যে কোনও সময় যে কোনও বিজেপি নেতা-কর্মীর গ্রেফতারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । নথি দেখে বোঝা যাচ্ছে কোনও পেশাদার লোক এফআইআর-এর ফরম্যাট করে দিয়েছেন । 2 জুলাই রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে । ইতিমধ্যে কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না ।"

Last Updated : Jun 26, 2024, 5:53 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.