কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর খাতা দেখা নিয়ে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ওই পরীক্ষার্থীর খাতা অন্য কোনও পরীক্ষককে দিয়ে মূল্যায়ন করাতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। বিচারপতি ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ, ‘‘দেখেই মনে হচ্ছে নম্বর দেওয়া ঠিকঠাক হয়নি।"
হাইকোর্ট সুত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের এক পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষায় 11 নম্বর কম দেওয়া হয়েছে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। তার অভিযোগ, খাতায় নম্বর দিতে গিয়ে একাধিক জায়গায় পরীক্ষক কাটাকুটি করেছেন ৷ এমনটাই আদালতে জানান পরীক্ষার্থীর আইনজীবী সুনীত কুমার রায়।
ফলপ্রকাশ হলে দেখা যায়, অন্য বিষয়ের তুলনায় জীবনবিজ্ঞানের প্রাপ্ত নম্বর অনেকটাই কম ৷ নন্দীগ্রামের ওই পরীক্ষার্থী বাংলায় 97, ইংরেজিতে 99, অঙ্কে 99, ভৌতবিজ্ঞানে 95, ইতিহাসে 95 এবং ভূগোলে 99 পেলেও জীবনবিজ্ঞানে তার প্রাপ্ত নম্বর 82। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য ফলপ্রকাশের এক মাসের মধ্যে আবেদন জানাতে হয়। কিন্তু ওই পরীক্ষার্থী শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা করতে পারেনি ৷ পর্ষদ নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর আবেদন জানায় সে। কিন্তু তা গ্রহণ করেনি পর্ষদ। বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নন্দীগ্রামের ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর বিচারপতিরও পর্যবেক্ষণ, "মুল্যায়ন যথাযথ হয়নি বলেই মনে হচ্ছে ।" বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন, ওই পরীক্ষার্থীর খাতা অন্য কোনও পরীক্ষককে দিয়ে মূল্যায়ন করাতে হবে। হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, জীবনবিজ্ঞানের প্রধান পরীক্ষককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আগের শুনানিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ওই পরীক্ষার্থীর জীবনবিজ্ঞানের খাতা দেখাতে হবে ৷ সেই মতো আদালতে জমা পড়েছিল খাতা। এদিন সেই খাতা দেখে বিচারপতির মনে হয়েছে মুল্যায়ন সঠিকভাবে হয়নি । এ বিষয়ে পর্ষদকে একটি হলফনামাও জমা দিতে বলা হয়েছে। এক মাস পরে এই মামলার ফের শুনানি ।
পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের পর বিচার ভবন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে ফের ভর্ৎসনা