ETV Bharat / state

সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন কবে? মুখ্যসচিবকে জানানোর শেষ সুযোগ দিল হাইকোর্ট - SSC Recruitment Scam

Calcutta High Court on SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়লেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। তাঁকে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন নিয়ে মত জানাতে শেষ সুযোগ দিল হাইকোর্ট।

Etv Bharat
সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন, মুখ্যসচিবকে শেষ সুযোগ হাইকোর্টের
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 23, 2024, 10:30 PM IST

কলকাতা, 17 এপ্রিল: নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন নিয়ে কলকতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। এই চার্জ গঠন করে বিচারপর্ব শুরুর ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে অনুমোদন দিতে আরও একবার সময় দিল হাইকোর্ট। তবে এটাই শেষ সুযোগ বলে সাফ জানিয়ে দিল আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী মে মাসের 2 তারিখের মধ্যে এ ব্যাপারে তাঁর মতামত জানাতে হবে। না-হলে আদালত অবমাননার মামলা জারি করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিয়োগ দূর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কল্যানময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তি প্রসাদ সিনহা-সহ একাধিক ব্যাক্তি জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানেই সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, তারা 2022 সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে অনুমোদন চেয়েছিল ধৃত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শুরু করার ব্যাপারে। কিন্তু তিনি এতদিন ধরে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন। তারপরই কেন অনুমোদন দিচ্ছেন না, তা মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চেয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কারণে তাঁর হাতে সময় নেই বলে, বার বার আদালতকে জানিয়েছেন তিনি।

এদিনও তাঁর মতামত জানানোর নির্দেশ ছিল। কিন্তু তিনি কিছু জানাননি। শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "নির্বাচনের সঙ্গে মুখ্যসচিবের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনও সম্পর্ক নেই। অকারণে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দেরি করছেন। তিনি এই মামলার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না। মুখ্যসচিব নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না । তাহলে আমাদের কি এটা ধরে নিতে হবে যে এই অভিযুক্তরা এতই প্রভাবশালী যে, রাজ্যের মুখ্যসচিবও বিচার শুরু করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না? এই দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে রয়েছে এবং অনেক উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এটা মাথায় রাখতে হবে মুখ্যসচিবকে। তাই বিচারের কাজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্যসচিবকে প্রভাবমুক্ত থাকতে হবে ।"

আরও পড়ুন:

  1. পিএসসি-র পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
  2. শিক্ষা দুর্নীতিতে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা, মন্ত্রীসভার সকলকে গ্রেফতারির দাবি শুভেন্দুর

কলকাতা, 17 এপ্রিল: নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন নিয়ে কলকতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। এই চার্জ গঠন করে বিচারপর্ব শুরুর ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে অনুমোদন দিতে আরও একবার সময় দিল হাইকোর্ট। তবে এটাই শেষ সুযোগ বলে সাফ জানিয়ে দিল আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী মে মাসের 2 তারিখের মধ্যে এ ব্যাপারে তাঁর মতামত জানাতে হবে। না-হলে আদালত অবমাননার মামলা জারি করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিয়োগ দূর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কল্যানময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তি প্রসাদ সিনহা-সহ একাধিক ব্যাক্তি জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানেই সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, তারা 2022 সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে অনুমোদন চেয়েছিল ধৃত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শুরু করার ব্যাপারে। কিন্তু তিনি এতদিন ধরে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন। তারপরই কেন অনুমোদন দিচ্ছেন না, তা মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চেয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কারণে তাঁর হাতে সময় নেই বলে, বার বার আদালতকে জানিয়েছেন তিনি।

এদিনও তাঁর মতামত জানানোর নির্দেশ ছিল। কিন্তু তিনি কিছু জানাননি। শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "নির্বাচনের সঙ্গে মুখ্যসচিবের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনও সম্পর্ক নেই। অকারণে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দেরি করছেন। তিনি এই মামলার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না। মুখ্যসচিব নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না । তাহলে আমাদের কি এটা ধরে নিতে হবে যে এই অভিযুক্তরা এতই প্রভাবশালী যে, রাজ্যের মুখ্যসচিবও বিচার শুরু করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না? এই দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে রয়েছে এবং অনেক উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এটা মাথায় রাখতে হবে মুখ্যসচিবকে। তাই বিচারের কাজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্যসচিবকে প্রভাবমুক্ত থাকতে হবে ।"

আরও পড়ুন:

  1. পিএসসি-র পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
  2. শিক্ষা দুর্নীতিতে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা, মন্ত্রীসভার সকলকে গ্রেফতারির দাবি শুভেন্দুর
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.