কলকাতা, 14 অক্টোবর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য-কাণ্ডে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে মারধরের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ । তবে তা আপাতত কার্যকর না-করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের পূজাবকাশকালীন বেঞ্চ ।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইতিমধ্যে 5 অক্টোবর ওই দুই অভিযুক্তের জামিন হয়ে গিয়েছে । সব পক্ষকে এখনও কপিও দেওয়া যায়নি । এদিন সব পক্ষ আদালতে হাজিরও হননি । সেই জন্য বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা রেগুলার বেঞ্চেই পাঠালেন । আগামী 4 নভেম্বর মামলার শুনানি । ইতিমধ্যে 6 নভেম্বর পর্যন্ত এই মামলার ব্যাপারে কোনও তদন্ত না-করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । অর্থাৎ সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ ।
এদিন সকালে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল । এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি ।
উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ মিছিল থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে হাততালি দেওয়ার অভিযোগে, গত 7 এবং 8 সেপ্টেম্বর দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ । হেফাজতে দুই বন্দিকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে । সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ।
মামলায় আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, পুলিশি হেফাজতে তাঁদের শারীরিক নির্যাতন করা হয় । জেল হেফাজতে মেডিক্যাল চেক-আপের সময় তাঁরা নির্যাতনের কথা প্রকাশ করেন । কারও মন্তব্যের প্রতিবাদ করা এবং শুধু হাততালি দেওয়ার জন্য তাঁদের 26 দিনের জেল হয়েছে ৷ রাজ্যের বিভিন্ন থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ।
অন্যদিকে, রাজ্যের যুক্তি ছিল, "একজন রাজনৈতিক নেতার নাবালক সন্তানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত অবমাননাকর মন্তব্য করা হয় । এটি একটি লজ্জাজনক সত্য । এমন মন্তব্যের পর তাঁরা হাততালি দিচ্ছিলেন, উল্লাস করছিলেন ৷ এটা কি কোনও সুশীল সমাজে বলা যায় ? যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি এখনও পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন । এই ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য সমর্থন করার জন্য মামলাকারীদের আদালত প্রশ্রয় দিতে পারে না ৷"