কলকাতা, 4 অগস্ট: দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের 143তম ব্যাটালিয়নের বর্ডার ফাঁড়ি তারালির জওয়ানদের উপর মারাত্মক হামলা চালিয়ে গবাদি পশু পাচারের চেষ্টা । আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করার পাশাপাশি একজন গরু পাচারকারীকে ধরতে সফল হয়েছে । শনি ও রবিবার রাতে উত্তর 24 পরগনার স্বরূপনগর থানা এলাকার ঘটনা । অন্যদিকে, মালদা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিভিন্ন অভিযানে গরু পাচারকারীদের খপ্পর থেকে মোট 43টি গরু ও মোষকে মুক্ত করেছে বিএসএফ ।
জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা বিভাগের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত ফাঁড়ি তারালি-1 এর জওয়ানরা রাতের বেলা কৃষিজমিতে ঘাঁটিগাড়ে । দীর্ঘ অপেক্ষার পর 15-16 জন চোরাকারবারীকে গরু নিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশের দিকে যেতে দেখে । সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতীদের তাড়া করে জওয়ানরা । একই সঙ্গে নদীতে নৌকায় টহলরত অন্যান্য জওয়ানদের সতর্ক করা হয় । সব চোরাকারবারিদের চারদিক থেকে স্থল ও জলে নৌকায় করে ঘিরে ফেলা হয় । চোরাকারবারীরা আক্রমণ করে জওয়ানদের ৷ আত্মরক্ষার্থে জওয়ানরাও পাচারকারীদের দিকে পালটা 1 রাউন্ড গুলি চালায় । এতে চোরাকারবারীরা আতঙ্কিত হয়ে অন্ধকারের সুযোগে বাঁশের গুচ্ছ, ঘন ফসলি জমি ও আশপাশের বাড়িঘরে সব গবাদিপশু ফেলে পালানোর চেষ্টা করে । ঘটনায় 1 ভারতীয় চোরাকারবারী ইশারুলকে (নাম পরিবর্তিত) পাকড়াও করে জওয়ানরা ৷ সে উত্তর 24 পরগনা জেলার হাকিমপুরের বাসিন্দা । এরপরে, সমস্ত জওয়ানরা এলাকাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি চালিয়ে 14টি ষাঁড় উদ্ধার করে । একইভাবে সীমান্ত ফাঁড়ি আমোদিয়ার জওয়ানরা 10টি গরু ও মোষ উদ্ধার করে ।
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত চোরাকারবারী জানায়, এক অজ্ঞাত ভারতীয় চোরাকারবারী তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব পশু বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় । যার জন্য সে রাজি হয় । কিন্তু বাংলাদেশে পাচার করার আগেই বিএসএফ তাদের সব গবাদি পশু-সহ ধরে ফেলে ।
এছাড়াও, মালদা জেলার অ্যাডহক ব্যাটালিয়নের জেজেপুর, মধুপুর, কেদারিপাড়া এবং আডডাঙা সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা পাচারকারীদের খপ্পর থেকে 19টি মোষ উদ্ধার করে । এই বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা শ্রী একে আর্য ডিআইজি বলেন যে, "ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করতে বিএসএফ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে । এ কারণে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের অনেক অসুবিধায় পড়তে হয় । আমরা কোনও অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেব না ।"