দার্জিলিং, 7 জুন: ফের পাহাড়ি রাস্তায় দেখা মিলল কালো চিতার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শৈলরানিতে। তবে গোটা পাহাড়ে ব্ল্যাক প্যান্থার হিসেবেই জল্পনা ছড়িয়েছে। এবার বৃহস্পতিবার রাতে কার্শিয়াং থেকে আট কিলোমিটার দূরে চিমনি এলাকার রাস্তায় ওই কালো চিতার দেখা মিলেছে। রাতে এক গাড়ি চালক চিমনি এলাকার এক হোম-স্টেতে যাওয়ার সময় ওই কালো চিতার ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। এরপরই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় ওই ভিডিয়োটি।
দার্জিলিংয়ের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার বিশ্বনাথ প্রতাপ বলেন, "পাহাড়ে এর আগেও কালো চিতা বা ম্যালানিস্টিক লেপার্ডের সন্ধান মিলেছে। খবর নেওয়া হচ্ছে। কালো চিতা আসলে চিতাবাঘের একটি জেনেটিক মানের কারণ। যে কারণে চিতার শরীরে কালো রঙের পরিমাণ বেড়ে যায়।"
এর আগে 2020 সালে মিরিকের ওকাইতি চা-বাগান সংলগ্ন নয় নম্বর ডিভিশনের কাছে রাস্তা পার করার সময় এক কালো চিতার দেখা মিলেছিল। তার আগেও 2020 সালে মিরিকেই কালো চিতার দেখা মিলেছিল।
এছাড়াও 2022 সালে বক্সার জঙ্গলে এবং জয়ন্তী এলাকাতে কালো চিতার দেখা মিলেছিল। ওই বছরই মানভঞ্জন সংলগ্ন এলাকায় এক ব্ল্যাক প্যান্থারের দেহ উদ্ধার হয়। বন দফতর জানিয়েছিল, এলাকা দখল করতে গিয়ে দুই কালো চিতার সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল। লকডাউনের সময়ে দার্জিলিং শহরেই ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল ব্ল্যাক প্যান্থার। উত্তরবঙ্গের নেওড়াভ্যালি এবং বক্সা টাইগার রিজার্ভে আনাগোনা রয়েছে কালো চিতা। 2023 সালের 24 এপ্রিল দার্জিলিংয়ের চিত্রে বাজারের কাছে রাস্তা পার হতে দেখা যায় কালো চিতা। এরপর নভেম্বর মাসেও মিরিকে দেখা গিয়েছিল কালো চিতা।
মূলত, দার্জিলিং পাহাড় ও ডুয়ার্স এলাকায় চিতাবাঘের সংখ্যা নেহাত কম নয়। চা-বাগান অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় চিতাবাঘের সংখ্যা গত কয়েক মাসে প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। তবে অন্যান্য জায়গার তুলনায় মিরিক, কার্শিয়াং, মহানন্দা অভয়ারণ্যে কালো চিতা মাঝেমধ্যেই দেখা মিলছে।