কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান এখনও অধরা ৷ রেশন দুর্নীতি মামলায় এখনও ইডি ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের নাগালের বাইরে তিনি ৷ তারই মধ্যে নয়া তথ্য উঠে এল ইডির তদন্তে ৷ সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি কালো টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসাতে ঢেলেছে শাহজাহান ৷ এমনকি বাকিবুর রহমানের সঙ্গে মিলে অন্যান্য একাধিক ব্যবসায় খাটানো হয়েছে ৷ এভাবেই এই কালো টাকা সাদা করেছেন শেখ শাহজাহান ৷ ইডি সূত্রে খবর, সেই টাকা চলে গিয়েছে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৷
তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন, রেশন দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা শেখ শাহজাহান খাটিয়েছিল তার আমদানি-রফতানির ব্যবসায় ৷ আর এভাবে যে এদেশের প্রভাবশালীরা এর লভ্যাংশ নিয়েছে, তেমনটা নয় ৷ বরং, দেশের বাইরেও একাধিক ব্যবসায়ী এতে লাভবান হয়েছে বলে মনে করছে ইডির তদন্তকারীরা ৷ আর এই সূত্রে সন্দেশখালির একদা বেতাজ বাদশার বিরুদ্ধে একটি নতুন অভিযোগ দায়ের করল ইডি ৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্তে নামার আগে বাকিবুর রহমানের একাধিক জমি, বাড়ি ও ব্যবসার অফিসে তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছিল ৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল একটি ডায়েরি ৷ সেখান থেকেই তদন্তকারীরা জানতে পারে, বাকিবুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের ৷ কোন মাসে, কত টাকা কোন-কোন ব্যবসায় খাটানো হয়েছে, তার প্রাথমিক একটা হিসাবে তদন্তকারী ইতিমধ্যে পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
বৃহস্পতিবার রাতে ই-মেইল মারফত শেখ শাহজাহানকে চতুর্থবার হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি ৷ তারপর আজ সকালে রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি ৷ সকাল 7টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে দু’টি গাড়ির একটি রওনা দেয় হাওড়ার হালদার পাড়ায় ৷ আর অপরটি যায় দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ে । সূত্রের খবর, পরবর্তী সময়ে আরও একটি গাড়িতে ইডি আধিকারিকরা উত্তর 24 পরগনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত মোট 6টি জায়গায় এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: