মালদা, 20 এপ্রিল: শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি কর্মীদের উপর দুষ্কৃতী হামলা। অভিযুক্তরা তৃণমূল আশ্রিত বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এই ঘটনায় বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক-সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আড়াইডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। যদিও বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
শনিবার দুপুরে রতুয়ায় দলীয় প্রার্থী খগেন মুর্মুর সমর্থনে জনসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সভা শেষে বিজেপির কর্মীরা বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, বাহারাল স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় শতাধিক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির পতাকা লাগানো গাড়ি থামিয়ে হামলা চালায়। বাঁশ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় বিজেপির এক পদাধিকারী-সহ 5 জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক শুভম স্বর্ণকার বলেন, "রতুয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষে গাড়ি বেড়িয়ে যাওয়ার পর আমরা ফিরছিলাম। বাহারাল স্ট্যান্ডে আমাদের তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী গাড়ি থামিয়ে বাঁশ দিয়ে গাড়িতে হামলা চালানো হয়। তারপর আমাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। আমি স্কুটারে ছিলাম। আমার মাথাতেও বাঁশের আঘাত লেগেছে। পরে আরেকবার মারতে যাওয়ার সময় আমি হাত বাড়ালে হাতে বাঁশের আঘাত লাগে। শতাধিক তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডাবাহিনী আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। রাজনৈতিক বিভেদের কারণেই আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি।"
মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মেহবুব আলম বলেন, "পুরো ঘটনা মিথ্যা এবং সাজানো। এ ধরনের কোনও ঘটনা সেখানে ঘটেনি। শুভেন্দু অধিকারীর সভায় মানুষের উপস্থিতি ছিল না। সেই কারণে তৃণমূলকে বদনাম করতে বিজেপি এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে। আজ গাজোল ও মানিকচকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। আমাদের নেতাকর্মীরা সেখানেই ছিলেন। উত্তর মালদায় হার নিশ্চিত জেনেই বিজেপি এধরনের চক্রান্ত করছে।"
আরও পড়ুন: