বসিরহাট, 14 ফেব্রুয়ারি: ধরনাস্থল থেকে আটক হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ দলের অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ এসপি অফিসের সামনে ধরনারত অবস্থায় রাত সাড়ে 12টা নাগাদ আটক করা হয়েছিল সুকান্তদের ৷ এরপর প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে সোজা তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট স্টেডিয়ামের ভিতরে ৷ সেখানেই রাত দেড়টা পর্যন্ত তাঁদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ ৷ পুলিশের এই আচরণে ক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতা-কর্মীরা আটক করার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ৷ থানার বদলে কেন তাঁদের বসিরহাট স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হল ? সেই প্রশ্নে সরব হয়েছে গেরুয়াশিবির ৷
সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে ৷ এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা 12টা থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বসিরহাটের এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি নেয় বিজেপি ৷ এই অভিযানে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গেরুয়া শিবিরের মোট সাত কর্মীকে গ্রেফতার করে ৷ এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনরত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এসপি অফিস চত্বরে বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার।
ধরনাস্থল থেকে সুকান্ত হুঁশিয়ারি দেন, যতক্ষণ না গ্রেফতার হওয়া কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি এসপি অফিস চত্বর থেকে উঠবেন না ৷ এরপর এসপি অফিস চত্বরেই রাত কাটানোর পরিকল্পনা করেন সুকান্ত ৷ এদিন সুকান্ত বলেন, "আমাদের দলীয় কর্মীদের আটক করতে পুলিশ যে তৎপরতা দেখাল, শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের ধরতে এই তৎপরতা দেখালে পুলিশকে আজ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হত না ৷" রাজ্য সভাপতি আরও জানিয়েছেন, রাতে বসিরহাটে থাকার পর বুধবার সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন ৷
এদিকে মঙ্গলবার রাতে বসিরহাটের এসপি অফিস চত্বরে ধরনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী ৷ পুলিশের তরফে সুকান্ত সমেত ধরনারতদের জায়গা ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য 5 মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয় ৷ এতে কাজ না-হওয়ায় সুকান্ত মজুমদার ও তাঁর অনুগামীদের জোর করেই তুলে দেওয়া হয় ৷ এরপর টানাহ্যাঁচড়া করে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বলে অভিযোগ ৷
এরপর রাতে এসপি অফিস চত্বরে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, অনুমতি ছাড়াই এসপি অফিসের সামনে বেআইনি জমায়েতের অভিযোগে সুকান্ত-সহ বিজেপি নেতা-কর্মীদের আটক করা হয় ৷ পরে, বন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ তবে বিজেপির বসিরহাট জেলা নেতৃত্বের একাংশের দাবি, বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার-সহ দলের অন্যদের গ্রেফতার করা হয় এবং পরে জামিনে মুক্ত করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: