ETV Bharat / state

ধরনায় সামিল হয়ে দোষীর মৃত্যুদণ্ডের দাবি বিজেপির - RG Kar Rape and Murder Case

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 22, 2024, 10:45 AM IST

BJP Sit in Protest: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার হত্যার ঘটনায় দোষীর মৃত্যুদণ্ডের দাবির করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ এই ঘটনায় স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও কর্মসূচি করে বিজেপি নেতৃত্ব ৷

BJP Dharna
বিজেপির স্বাস্থ্যভবন ঘেরাও কর্মসূচি (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 22 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়া হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামবাজারে বিজেপির ধরনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্যে নেতৃত্ব ৷ বুধবারের এই কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্য সভাপতি ডক্টর সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল প্রমুখ ৷

বিজেপির ধরনা কর্মসূচি (ইটিভি ভারত)

এদিন সুকান্ত মজুমদার জানান, আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত হয়েছে সন্ধ্যা ছ'টার পরে, যা অবৈধ ৷ তিনি এদিন বলেন, "রাজনৈতিক কারণেই তো মেয়েটির হত্যা হয়েছে ৷ মেয়েটিকে প্রথমে ধর্ষণ এবং তারপর হত্যা করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে রাজনীতি রয়েছে ৷ সঞ্জয় রায় কি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় ? রাজনীতি ছাড়া তো মানুষ হয় না ৷"

মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলেই কি সব সমস্যা মিটে যাবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "এই মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে তো হচ্ছে না ৷ অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোক ৷ তিনি তৃণমূল কংগ্রেসেরই হোক ৷ দেখা যাক, যদি তিনি কিছু করতে পারেন ৷ যদি তিনিও না পারেন, তাঁরও পদত্যাগ চাইবে বিজেপি ৷ মানুষ সম্পূর্ণভাবে এই মুখ্যমন্ত্রীর উপর থেকে বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়ে ফেলেছে ৷ তাই সাধারণ মানুষ চাইছে, এই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদ থেকে সরে যান ৷"

সুপ্রিম কোর্ট রায়ের পর সরকারি হাসপাতালে সুরক্ষা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, "এতে রাজ্য সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সিপি ও ডিজি পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন তিনি ৷ প্রতি দু'ঘণ্টা অন্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে, এটা রাজ্যের জন্য বিরাট লজ্জার বিষয় বলে মনে করেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো দেহত্যাগ না করলে পদত্যাগ করবেন না ৷ আর সবই যদি কেন্দ্র সরকার করবে তাহলে রাজ্য সরকার থেকে লাভ কী ? এই মন্ত্রিসভা থেকেই বা লাভ কী, কোনও প্রয়োজন নেই ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলে দিন, আমরা পারব না ছাড়তে, তারপর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যাক ৷"

বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিল ৷ এরপরে সিবিআই-এর হাতে বিষয়টি হস্তান্তরিত হওয়ার পর কেটে গিয়েছে আট দিন ৷ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই ৷ এ বিষয়টি পরিষ্কার করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "রাজ্যে যে সিবিআই তদন্তগুলি চলছে, সেগুলিকে দুটো শ্রেণিতে ভাগ করা যায় ৷ এক শ্রেণি, সেইসব তদন্ত, যেখানে তদন্ত সরাসরি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে ৷ আর অন্য ক্যাটাগরিটি যেখানে আগে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করেছে, মামলাটি তারপর পেয়েছে সিবিআই ৷"

তিনি মনে করেন, এই দু'টি ক্ষেত্রেই ফল একেবারে ভিন্ন ৷ যে তদন্তের ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের থেকে সিবিআই পেয়েছে, সেগুলির একটার ক্ষেত্রেও কোনও আশাপ্রদ ফল হয়নি ৷ অথচ সিবিআই সরাসরি যে তদন্তগুলি করেছে, সেই তদন্তগুলিতে ভালো ফল পেয়েছে ৷ গ্রেফতার হয়েছে দোষী ৷ উদাহরণস্বরূপ তিনি সারদা কাণ্ডের কথা বলেন ৷ তিনি বলেন, "সবাই লাল ডায়েরি বলে খুব চিৎকার করছিল ৷ কিন্তু সেই লাল ডায়েরি আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেল না ৷"

কলকাতা, 22 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়া হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামবাজারে বিজেপির ধরনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্যে নেতৃত্ব ৷ বুধবারের এই কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্য সভাপতি ডক্টর সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল প্রমুখ ৷

বিজেপির ধরনা কর্মসূচি (ইটিভি ভারত)

এদিন সুকান্ত মজুমদার জানান, আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত হয়েছে সন্ধ্যা ছ'টার পরে, যা অবৈধ ৷ তিনি এদিন বলেন, "রাজনৈতিক কারণেই তো মেয়েটির হত্যা হয়েছে ৷ মেয়েটিকে প্রথমে ধর্ষণ এবং তারপর হত্যা করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে রাজনীতি রয়েছে ৷ সঞ্জয় রায় কি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় ? রাজনীতি ছাড়া তো মানুষ হয় না ৷"

মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলেই কি সব সমস্যা মিটে যাবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "এই মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে তো হচ্ছে না ৷ অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোক ৷ তিনি তৃণমূল কংগ্রেসেরই হোক ৷ দেখা যাক, যদি তিনি কিছু করতে পারেন ৷ যদি তিনিও না পারেন, তাঁরও পদত্যাগ চাইবে বিজেপি ৷ মানুষ সম্পূর্ণভাবে এই মুখ্যমন্ত্রীর উপর থেকে বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়ে ফেলেছে ৷ তাই সাধারণ মানুষ চাইছে, এই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদ থেকে সরে যান ৷"

সুপ্রিম কোর্ট রায়ের পর সরকারি হাসপাতালে সুরক্ষা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, "এতে রাজ্য সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সিপি ও ডিজি পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন তিনি ৷ প্রতি দু'ঘণ্টা অন্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে, এটা রাজ্যের জন্য বিরাট লজ্জার বিষয় বলে মনে করেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো দেহত্যাগ না করলে পদত্যাগ করবেন না ৷ আর সবই যদি কেন্দ্র সরকার করবে তাহলে রাজ্য সরকার থেকে লাভ কী ? এই মন্ত্রিসভা থেকেই বা লাভ কী, কোনও প্রয়োজন নেই ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলে দিন, আমরা পারব না ছাড়তে, তারপর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যাক ৷"

বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিল ৷ এরপরে সিবিআই-এর হাতে বিষয়টি হস্তান্তরিত হওয়ার পর কেটে গিয়েছে আট দিন ৷ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই ৷ এ বিষয়টি পরিষ্কার করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "রাজ্যে যে সিবিআই তদন্তগুলি চলছে, সেগুলিকে দুটো শ্রেণিতে ভাগ করা যায় ৷ এক শ্রেণি, সেইসব তদন্ত, যেখানে তদন্ত সরাসরি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে ৷ আর অন্য ক্যাটাগরিটি যেখানে আগে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করেছে, মামলাটি তারপর পেয়েছে সিবিআই ৷"

তিনি মনে করেন, এই দু'টি ক্ষেত্রেই ফল একেবারে ভিন্ন ৷ যে তদন্তের ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের থেকে সিবিআই পেয়েছে, সেগুলির একটার ক্ষেত্রেও কোনও আশাপ্রদ ফল হয়নি ৷ অথচ সিবিআই সরাসরি যে তদন্তগুলি করেছে, সেই তদন্তগুলিতে ভালো ফল পেয়েছে ৷ গ্রেফতার হয়েছে দোষী ৷ উদাহরণস্বরূপ তিনি সারদা কাণ্ডের কথা বলেন ৷ তিনি বলেন, "সবাই লাল ডায়েরি বলে খুব চিৎকার করছিল ৷ কিন্তু সেই লাল ডায়েরি আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেল না ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.