কলকাতা, 24 জুলাই: রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে । বুধবার এই ইস্যুতে বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে সরব হল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি । এ দিন প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে রাজ্যের ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেন অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির মহিলা বিধায়করা । অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই প্রস্তাব সদনে পাঠ করার সুযোগ দিলেও তা খারিজ করে দেন ।
এরপরই বিধানসভার ভিতরে এই নিয়ে হইচই শুরু করেন বিজেপির বিধায়করা । মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ধরে বিধানসভার ভেতরে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা । এরপর বিধানসভার প্রথমার্ধের অধিবেশন শেষ হয়ে গেলে বিধানসভার গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা ।
সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘গত দেড় মাসে আমাদের রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে দেখতে পাওয়া গিয়েছে । এখানে কোচবিহারে মহিলাদের ওপর যেমন অত্যাচার হয়েছে, একইভাবে দক্ষিণ 24 পরগনায় তালিবানি কায়দায় মারধর করা হয়েছে । আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম । কিন্তু আমাদের এই সুযোগ দেওয়া হয়নি ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এ বছর রাজ্যপালের ভাষণ হয়নি ৷ 13 বছরে 12 বার স্বরাষ্ট্র দফতরের বাজেট গিলোটিনে গিয়েছে, যেদিন স্বরাষ্ট্র দফতর নিয়ে আলোচনার সুযোগ থাকে, সেদিন প্রশ্ন নেওয়া হয় না । এই অবস্থায় আজ আমাদের দাবি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর স্টেটমেন্ট চাই । তিনি যেহেতু বিধানসভায় নেই । অন্য কোনও মন্ত্রী এই স্টেটমেন্ট দিতে পারতেন । সেটাও ইগনোর করা হয়েছে । উলটে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে দিয়ে বলানো হল, এই সরকার নারী নির্যাতন নিয়ে অত্যন্ত কঠোর । এই সরকার নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে এতটাই কঠোর বগটুই, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি - সব তদন্ত সিবিআইকে দিতে হয় ।’’
এদিকে বিজেপির এই বিক্ষোভ ক্ষমতায় ভেসে থাকার প্রয়াস বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে যতগুলি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সবেতেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে এই সরকার । নারী নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয় উত্তরপ্রদেশে । বিজেপি শাসিত রাজ্যে ।’’