কৃষ্ণনগর, 30 মার্চ: "দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছি, তাই প্রতিপক্ষ হিসাবে কাউকে ভাবছি না", নির্বাচনী প্রচারে নেমে তৃণমূল-সিপিএমকে গুরুত্বই দিলেন না বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় ৷ প্রায় রোজ দিনই তাঁকে কৃষ্ণনগরের প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে ৷ জনসংযোগ কর্মসূচিতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কৃষ্ণনগরের পাত্র বাজারে প্রচারে করছিলেন কৃষ্ণনগরের রানিমা ৷ সেখানেই তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন ৷
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই তৃণমূল কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্রের নাম ঘোষণা করে ৷ সেই মতো কিছুদিন আগে থেকেই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করছেন প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া ৷
এদিন বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণনগরের রাস্তায় নেমে প্রচার করেন ৷ কৃষ্ণনগরের পাত্র বাজারে বিভিন্ন দোকানদার, সবজি বিক্রেতা, ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি ৷ এখানে সাংবাদিকরা অমৃতা রায়কে ঘিরে ধরেন ৷ কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় বলেন, "মানুষের যা উৎসাহ উদ্দীপনা দেখছি, তাতে আমি খুবই সাহস পেয়েছি ৷ কিছু বলার আগেই সবাই বলছে আপনাকে জিতিয়ে দেব ৷ আমি সবার আশীর্বাদ পাচ্ছি ৷ মনে হচ্ছে, এখনই জিতে গিয়েছি ৷"
বিরোধী সিপিএম-তৃণমূলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি এখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে কাউকেই ভাবছি না ৷ আমি দুর্নীতি সরাতে এগোচ্ছি ৷ আলোয় যেতে চাইছি ৷ এখানে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি কী করে কাকে ভাবব ? আমার লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৷ সাধারণ মানুষের পাশে থাকার লড়াই ৷ আমার অন্য কিছু ভাবার দরকার নেই ৷"
সাংসদ হলে কী করবেন অমৃতা রায়? কৃষ্ণনগরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কৃষ্ণনগরে বেলেডাঙার ওভারব্রিজ করার ইচ্ছে আছে ৷ সেখানে খুব ঘনঘন ট্রেন চলাচলের কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের খুব অসুবিধা হয় ৷" এর পাশাপাশি তিনি অঞ্জনা ও জলঙ্গি নদী দুটির কথাও তোলেন ৷ এই নদী দু'টির অবস্থা খুবই খারাপ ৷ সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিন ধরে এই নদী দু'টিকে সংস্কারের দাবি জানিয়ে এসেছে ৷ বিজেপি প্রার্থী বলেন, "আমি ক্ষমতায় এলে এই কাজগুলিই আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে ৷" অন্যদিকে প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের প্রচারও তুঙ্গে ৷ দিনের শেষে কৃষ্ণনগরের উন্নয়নের ভার কার হাতে বর্তাবে, তা জানা যাবে 4 জুন ৷
আরও পড়ুন: