বনগাঁ, 22 নভেম্বর: টিফিনের সময় স্কুলের বাইরে বেরোতেই বিপত্তি ৷ পাশের রাস্তায় হঠাৎ বিস্ফোরণ ৷ আহত দুই পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া । শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার খড়ুয়া রাজাপুর হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ। তারা ঘটনাস্থলে থেকে দুটি তার এবং কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে । এছাড়াও কথা বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আহত পড়ুয়াদের সঙ্গে। তবে কী থেকে এই বিস্ফোরণ তা খতিয়ে দেখছে বনগাঁ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের পাশে রাস্তা নির্মাণের জন্য শুক্রবার সকালে পাথর ফেলা হয়েছে । দুই ছাত্র টিফিনে বাড়িতে খেতে যাওয়ার জন্য স্কুল থেকে বের হয় । স্কুলের পাশের রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল তারা। সেই সময় রাস্তার পাশের পাথর ঢালা দেখে সেখান থেকে খেলার জন্য পাথর খুঁজছিল । আহত এক পড়ুয়ার দাবি, পাথরের মধ্যে দুটো তার দেখে তারা সেটি হাত দিয়ে ধরে । যার এক মাথায় লম্বা একটা বস্তু ছিল । কিছু বুঝতে না পেরে সেটি রেখে দিয়ে ফের পাথর খোঁজায় মন দেয় ৷
সেই সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে ৷ আঘাত লাগে দুই পড়ুয়ার ৷ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যায় । সেখানে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পড় ছেড়ে দেওয়া হলেও অন্যজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ।
পরিবার সূত্রে খবর, একজনের দুটি হাতে একাধিক ক্ষত হয়েছে । হাতের মধ্যে ছোট ছোট পাথরের কুচি এবং ধাতব বস্তু ঢুকে ছিল। ডান হাতের তিনটি আঙুল বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একাধিক সেলাইও পড়েছে। বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । বর্তমানে তার শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল । তবে কী থেকে এই বিস্ফোরণ তা এখনও পরিষ্কার নয় । স্থানীয়দের দাবি, পাথরের সঙ্গে বিস্ফোরকের মতো কিছু এসেছিল তার জেরে এই ঘটনা। অভিভাবকদের বক্তব্য, এই রাস্তার একাধিক জায়গায় পাথর ফেলা হয়েছে । সেখানে আর কোনও বিস্ফোরক আছে কি না তা খুঁজে দেখুক প্রশাসন । এদিকে বিষ্ফোণের ঘটনা নিয়ে বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ওখানে পাথরের মধ্যে ইলেকট্রনিক্স ক্যাপাসিটর ছিল। এটি থেকে ছোট একটি বিস্ফোরণ হয়। এই ধারনের ক্যাপাসিটর সাধারণত ফ্যানে অথা টেলিফোন লাইনে ব্যবহার করা হয়।