কলকাতা ও কৃষ্ণনগর, 13 অক্টোবর: দুর্গাপ্রতিমা নদীতে ভাসান দেওয়ার আগেই চালচিত্র থেকে টেনে ছিঁড়ে মূর্তি ছিন্নভিন্ন করছেন কর্মীরা ৷ এমন দৃশ্যের ভিডিয়ো পোস্ট করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
সাধারণত প্রতিমা জলে ডুবে গেলে তারপর সেখান থেকে প্রতিমার বিভিন্ন অংশ তুলে আনা হয় ৷ বিসর্জনের আগে প্রতিমার গায়ে হাত দেওয়া রীতি বিরুদ্ধ বলে দাবি তাঁর ৷
ছিঃ! ছিঃ! ছিঃ!
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 13, 2024
এই দৃশ্য বাংলাদেশের নয়, এই কীর্তি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বিরোধী শাসক তৃণমূল দল পরিচালিত পুরসভার।
আগে মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন না করে, প্রতিমাকে যন্ত্রের সাহায্যে অসভ্যের মতো ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে নদীতে ফেলা হয়েছে। গতকাল কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাটে কৃষ্ণনগর পৌরসভার… pic.twitter.com/RqN1U1ZvYl
এদিকে এমন ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা ৷ ভিডিয়োতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন কর্মী চালচিত্র থেকে দুর্গা প্রতিমাকে টানাটানি করে আলাদা করার চেষ্টা করছেন ৷ প্রতিমার খানিকটা অংশ বের করে তারপর বাকি হাতগুলি করাত দিয়ে কাটা হচ্ছে ৷
এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শুভেন্দু লেখেন, "ছিঃ! ছিঃ! ছিঃ! এই দৃশ্য বাংলাদেশের নয়, এই কীর্তি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বিরোধী শাসক তৃণমূল দল পরিচালিত পুরসভার ৷ আগে মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন না করে, প্রতিমাকে যন্ত্রের সাহায্যে অসভ্যের মতো ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে নদীতে ফেলা হয়েছে ৷ গতকাল কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাটে কৃষ্ণনগর পৌরসভার নির্দেশে পৌরসভার কর্মচারীরা এভাবেই দুর্গা ঠাকুরের প্রতিমাকে কেটে টুকরো করে ভাসান করেছে ৷"
বিজেপি নেতা চিরাচরিত রীতির উল্লেখ করে লেখেন, "ঠিকঠাক ভাবে শাস্ত্র মতে ভাসান হয়ে যাওয়ার পরে নদী পরিষ্কার রাখার জন্য যা করণীয় সেটা করলে কারও কোনও আপত্তি থাকতো না, কিন্তু তা না করে সর্বসমক্ষে এই কান্ড ঘটানোর উদ্দেশ্য কী ? এইভাবে সরাসরি সনাতনীদের আস্থায় আঘাত হানা ন্যক্কারজনক ৷"
নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের এই কাজে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে ধাক্কা লাগে ৷ তিনি কৃষ্ণনগরের রানাঘাটে 112 ফুটের দুর্গাপুজো বন্ধ করা নিয়েও রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করেন ৷