ঘাটাল, 25 মে: শনিবার ভোটের শুরু থেকেই বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। প্রথমে আনন্দপুরের ষোলাডিহা, পরে কেশপুরের মুগবাসানে বিজেপি প্রার্থী হিরণকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কর্মীরা। এমনকী ভোটের দিন হিরণকে 100 দিনের টাকা চেয়েও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এর পাশাপাশি রাস্তায় বসে, খড়ের গাদায় আগুন জ্বেলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি বলেও অভিযোগ বিজেপির। যদিও শেষে রণে ভঙ্গ দিয়ে মুগবাসান থেকে কেশপুরের দিকে চলে যান হিরণ। আর এই ঘটনায় হিরণের কটাক্ষ, "এটা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী এলাকায় প্রবেশ করেছি আমরা।"
যখন একদিকে একের পর এক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল, তখন অন্যদিকে সেভাবে ঘুরতেই দেখা গেল না তৃণমূল প্রার্থী দেবকে ৷ পালটা হিরণকে কটাক্ষ করে দেব বলেন, "হিরণ অভিনয় করছেন ৷ গতকাল রাতেও কেশপুরে ও টাকা নিয়ে ঘুরেছে ৷ পুলিশকে বলেছি প্রার্থী এত রাতে কেন ঘুরছেন দেখতে ৷" কেন্দ্রীয় বাহিনী নিষ্ক্রিয় রয়েছে বলে হিরণের অভিযোগের পালটা দেব বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী এর ভালো উত্তর দিতে পারবেন ৷" এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফের ডিআইজি ডিএস গ্রেওয়াল বলেন, "আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি ৷ সব বিষয়ের উপর আমরা নজর রেখেছি ৷"
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলকে সাফ করে দিয়েছি', ভোট দিয়েই হুঙ্কার শুভেন্দুর
একইসঙ্গে দেব বলেন, "কাউকে আজ কিছুই বলব না ৷ হেডলাইনে থাকার জন্য হিরণ অনেক কিছু করবে সেটা আমার আশঙ্কা ছিল ৷ তবে সকলকে শুভেচ্ছা ৷ যারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন প্রত্যেককেই শুভেচ্ছা ৷ ভোটদানের হার আগের থেকে বাড়ুক, সেটাই বলব ৷ সকলে নিজের দায়িত্ব পালন করুন ৷ ঝামেলা হয়েছে অনেকেই বুথের লাইন ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷ পিংলা, সবং, কেশপুরে কোনও ঝামেলাই হয়নি ৷ জেতার জন্য একমাত্র অস্ত্র হচ্ছে সন্ত্রাস ৷ সেটাই করার চেষ্টা হচ্ছে ৷ আমি সকাল থেকে কোথাও যাইনি ৷ গেলেই বলত দেব এই করেছে, ওই করেছে ৷ তাই বলেছি তুমি ঘুরে এস তারপর আমি বেরোব ৷"
আরও পড়ুন: বুথের বাইরে অভিজিৎকে ঘিরে 'চোর' স্লোগান, বিক্ষোভে এলাকা ছাড়লেন বিজেপি প্রার্থী