কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: "আমি একজন ব্যবসায়ী ৷ কোনও রাজনৈতিক নেতা নই ৷ ইচ্ছাকৃত ও অন্যায়ভাবে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আমাকে গ্রেফতার করেছে ৷" শুক্রবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে থেকে ইডির সঙ্গে বেরোনোর সময় সাংবাদিকের এমনটাই বললেন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস ৷
যদিও ইডির দাবি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর সঙ্গে এই বিশ্বজিৎ দাসের সরাসরি যোগাযোগ ছিল । বাকিবুর রহমানের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছত রাজা তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে । সেখান থেকে টাকা হাত ঘুরে যেত শংকর আঢ্য ওরফে ডাকুর হাতে । এরপর সেই টাকা চলে যেত সরাসরি বিশ্বজিৎ দাসের অ্যাকাউন্টে । যেহেতু তাঁর টাকা এক্সপোর্ট ইমপোর্ট-সহ বিদেশে একাধিক ব্যবসা রয়েছে ফলে সেই টাকা বাংলাদেশ ঘুরে চলে যেত দুবাই । দুর্নীতিকাণ্ডে সদ্য গ্রেফতার হওয়া বিশ্বজিৎ দাস নিজে সাফাই গাইলেও ইডির দাবি তিনি সরাসরিভাবে যুক্ত রয়েছেন ।
2020 সালের পর থেকে বিশ্বজিৎ দাসের লাইফস্টাইল বা জীবনশৈলীর ধরন একেবারে বদলে যায় । তখন থেকেই তাঁর নতুন নতুন ব্যবসার শুরু । সেই সময়ই বাকিবুর রহমান-সহ শংকর আঢ্য এমনকি রাজ্যের তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গেও আলাপ হয় বিশ্বজিৎ দাসের । যেদিন বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছিল সেদিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দাদের তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর খবর পেয়ে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে প্লেনে বাড়ি চলে আসেন বিশ্বজিৎ দাস । ফলে তাঁর বাংলাদেশে যোগাযোগও ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
এর আগে উত্তর 24 পরগনায় রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা । বাকিবুরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েই রাজ্যে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা । পরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও গ্রেফতার করা হয় ।
আরও পড়ুন :