কলকাতা, 1 অক্টোবর: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে 54 দিন । এবার প্রকাশ্যে এলেন নির্যাতিতার প্রিয় বান্ধবী । যার সঙ্গে দীর্ঘ 22 বছরের বন্ধুত্ব । শেষ কথা বলেছিলেন 4 অগস্ট । প্রিয় বান্ধবীকে বন্ধুত্ব দিবসের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি । সেই কথাই মঙ্গলবার সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের প্রিয় বান্ধবী । চিকিৎসকদের ডাকে মঙ্গলবার রবীন্দ্র সদন এসে তিনি বলেন, "ওর থেকে আমার ফোনে শেষ মেসেজ এসেছিল বন্ধুত্ব দিবসে । কিন্তু বুঝতে পারিনি ওটাই ওর শেষ মেসেজ ছিল । আমি ওকে রক্ষা করতে পারলাম না । দীর্ঘ 22 বছরের বন্ধুত্ব আমাদের শেষ হয়ে গেল 9 অগস্টে । যারা আমদের বন্ধুত্ব নষ্ট করল, তাদের শাস্তি চাই ।"
শুধু প্রিয় বান্ধবী নয়, এইদিন রবীন্দ্র সদনে এসেছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসকের মা, বাবা, কাকিমা এবং দাদা । 2 বছর আগে এমডিতে সুযোগ পাওয়ার পর নিজের বাড়ির গ্যারাজে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন আরজি কর হাসপাতালের ওই তরুণী চিকিৎসক । এবার 3 বছরে পড়ত তাদের পুজো । কিন্তু তার আগেই সব শেষ । তরুণী চিকিৎসকের দাদার কথায়, "আমাদের দেবী দুর্গা আগেই বিসর্জন হয়ে গিয়েছে । দেবী পৃথিবীতে আসেন অসুর বধ করতে । আজ আমার দেবী অসুরের হাতে বধ হয়েছে । কিন্তু অসুর বধ হবে ।"
আজকে মিছিল শেষে উপস্থিত হয়ে তরুণী চিকিৎসকের বাবা সর্বসাধারণের কাছে এক প্রশ্ন তোলেন । তিনি বলেন, "আমার মেয়ে খুব কষ্ট করে আজকে এই জায়গায় এসেছিল । এই পৃথিবীতে 144 কোটি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে । শুধু নেই আমার মেয়ের ৷" তবে
সাধারণ মানুষের এইভাবে আন্দোলনে সমর্থন করাকে সম্মান জানান নির্যাতিতার মা । তাঁর কথায়, "কেন আমার সঙ্গেই এটা ঘটল ? তবে আমি আমার মেয়েকে স্যালুট জানাই । আজ ওর জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ পথে নেমেছে । আমাদের বিচার পাওয়া আশা কমে গিয়েছিল । কিন্তু মানুষের আন্দোলন দেখে সাহস জেগেছে ।"