হাওড়া, 28 অগস্ট: বিজেপির ডাকা 12 ঘন্টার বনধে হাওড়া জুড়ে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল ৷ হাওড়া স্টেশন চত্বর অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক ৷ এমনকী স্টেশন সংলগ্ন ফেরিঘাট, বাসস্ট্যান্ডেও সেভাবে বনধের প্রভাব পড়েনি বললেই চলে ৷
সকাল 7টা নাগাদ হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক ৷ পাশাপাশি, হাওড়ার সাঁতরাগাছি এলাকাতেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে । খোলা রয়েছে শহরের প্রতিটি বাজার হাট ৷ যদিও কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷
অন্যদিকে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আর পাঁচটা দিনের মতো গাড়ির দেখা মিলল না। বুধবার সকাল থেকেই হুগলি সেতুতে গাড়ির সংখ্যা কম । সরকারি বাসের দেখা মিললেও বেসরকারি বাস হাতে গোনা । বনধের জন্য অনেক আগে থেকেই হাতে সময় নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছেন নিত্যযাত্রীরা ৷ এক নিত্যযাত্রীর মতে, কাজে যোগ দিতে যাবেন বলে বেড়িয়েছেন ৷ নির্ধারিত বাস স্টপে দাড়িয়েও বাসের দেখা মিলছে না ৷
এদিকে, রাস্তায় সরকারী বাসের দেখা মিলেও যাত্রীদের দেখা নেই বললেই চলে । বাসের অর্ধেক সিট খালি, প্রায় ফাঁকা বাস যাচ্ছে সেই ছবিও ধরা পড়ল । তবে বনধের দিন ডিউটি যোগ দিয়ে নিজের সুরক্ষার দায়িত্ব নিজের হাতেই তুলে নিলেন সরকারি বাস কর্মীরা । গণ্ডগোলের আশঙ্কায় মাথা বাঁচাতে হাওড়া-পাইকপাড়া রুটের এস-10 সরকারি বাসের চালককে মাথায় হেলমেট পরে বাস চালাতে দেখা গেল ৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ'-এর ডাকে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চিত্র দেখা যায় সমগ্র কলকাতা জুড়ে ৷ ছাত্র সমাজের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেফতারির প্রতিবাদে বঙ্গ বিজেপি 12 ঘণ্টার বনধ ডাক দেয় । এই আবহে রাস্তায় পর্যাপ্ত সরকারি এবং বেসরকারি বাস চালানোর কথাও জানান হয় রাজ্য সরকারের তরফে । তাদের কোনও ক্ষতি হলে সরকার তা দেখবেন । তাই সরকারি নির্দেশ মতোই সরকারি বাস চালালেও নিজের নিরাপত্তার জন্য মাথায় হেলমেট পড়ে গাড়ি চালাতে দেখা গেল চালককে ।