কলকাতা, 16 মার্চ: বিধায়কদের বেতন সংশোধন বিল ও পশ্চিমবঙ্গ বেতন ও ভাতা সংশোধনী বিল 2023 স্বাক্ষর করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ রাজ্যপালের কাছে একাধিক বিল আটকে রয়েছে ৷ এই অভিযোগ রাজ্য সরকারের বহুদিনের । 2013, 2015, 2017 ও 2019 সালে বিধানসভায় পাশ হওয়া 22টি বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার । তার মধ্যে দুটি বিলে স্বাক্ষর করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । ইতিমধ্যে ওই বিলগুলি নবান্নে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি রাজভবনের । বাকি বিলগুলি কবে স্বাক্ষর করা হবে সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
যদিও রাজ্যপালের কাছে কোনও বিল পড়ে নেই, এমন তথ্য দিয়ে রাজ্য সরকারকে অনেক আগেই জানিয়েছে রাজভবন । মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযোগ ওঠে রাজভবনে 22টি আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । কিন্তু সেই অভিযোগ তথ্য-সহ খারিজ করে দেন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারের পাঠানো কোনও বিল রাজভবনের পড়ে নেই বলেই জানানো হয়।
গত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের এক সন্ধ্যায় রাজভবনে একাধিক পদস্থ অধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানান, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । বরং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা দ্বারা পাশ করা বিলগুলির নিষ্পত্তিতে বিলম্বের অভিযোগ মোকাবিলা করার জন্য কর্মসূচির চালু করেন তিনি ৷ 'প্রারম্ভিক এবং কার্যকর নিষ্পত্তির (গতি) অধীনে বিলগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। বিলের গুরুত্ব অনুযায়ী স্পিড প্রোগ্রামের অধীনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী অথবা সচিবের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জায়গায় বসে বিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানানো হয়। এমনকী, সরকার ও বিধানসভার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য সিভি আনন্দ বোস রাজভবনে 3 সদস্যের একটি নতুন সেল গঠন করেছেন । রাজ্যপালের সচিবালয়ের অধিকারিকদের নিয়ে গঠিত এই সেল ।
তবে যে 22টি বিল আটকে রাখার অভিযোগ তোলা হয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে রাজভবন। তাতে স্পষ্ট যে, 12টি বিল রাজ্য সরকারের কাছে ব্যাখ্যার জন্য মুলতুবি রয়েছে । একটি বিলে রাষ্ট্রপতি কিছু শর্ত-সহ সম্মতি দিয়েছেন। দুটি বিল রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য অপেক্ষা করছে । আর সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় সম্পর্কিত বিল, যা এখন বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: