কলকাতা, 21 জুন: রাহুল গান্ধির দীর্ঘ কয়েক বছরের লড়াইয়ে কোণঠাসা কংগ্রেস ফের আরেবহরে বৃদ্ধি পেয়ে সংসদে বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে। 100 না-হলেও হাত শিবিরের লোকসভার আসন সংখ্যা 99। লোকসভা ভোটের আগে দেশজুড়ে পর পর 'ভারত জোড়ো যাত্রা' বা 'ন্যায় যাত্রা' দুয়েরই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল। কার্যত তাঁর কাঁধে ভর করেই দল ফের মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বলেই দাবি করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ আর তাই লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদে অন্য কেউ নয়, রাহুল গান্ধিকেই বসানোর দাবি জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ধিত জরুরি সভায় প্রস্তাব গৃহীত হল।
শুক্রবার ছিল লোকসভা ভোট পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠক। কলকাতার মৌলালি যুব কেন্দ্র সভাঘরে এদিন এই বর্ধিত জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। তার পরেই এক বিবৃতি দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধিকে বিরোধী দলনেতার কথা জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রাহুল গান্ধিকে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে চেয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এই সভায় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব, প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং জেলা কংগ্রেস কমিটিগুলির নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বিগত লোকসভা নির্বাচন, নির্বাচন উত্তর পরিস্থিতি এবং সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করা হয়। এরপর সভার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি)-র কাছে পাঠানো হবে বলে খবর। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গোলাম আহমেদ মীর, বিপি সিং, শরৎ রাউত, সাংসদ ইশা খান চৌধুরী, প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা আব্দুস সাত্তার-সহ অন্যান্য প্রদেশ এবং জেলা নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, একসময় রাহুল গান্ধি বিরোধী দলনেতা পদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। দলের সভাপতি পদ থেকেও সরে দাঁড়ান তিনি। পরিবারতন্ত্রের অপবাদ ঘুচিয়ে লাগাতার লড়াই চালিয়ে যান ৷ লোকসভায় তলানীতে থেকে যাওয়া কংগ্রেস একক বিরোধীদলের তকমা হারায়। সেই জায়গা থেকে রাহুল গান্ধির লাগাতার বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে একদম নিচুতলার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ গড়ে তোলেন। সেই ফল স্বরূপ সদ্য লোকসভায় 99 আসনে উঠেছে কংগ্রেস। ভালো ফলের জন্য প্রদেশ নেতৃত্ব রাহুল গান্ধিকেই কৃতিত্ব দিতে চেয়ে এই প্রস্তাব পাশ করল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।