ETV Bharat / state

কাটমানি খেয়ে অনুপ্রবেশ চলবে না, বাংলাদেশ ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপের - Dilip Ghosh

Dilip Ghosh on Bangladesh Issue: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কের একদিন পরেই বাংলাদেশ ইস্যুতে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ ৷ অনুপ্রবেশ নিয়ে আক্রমণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়েও ভয়ঙ্কর অভিযোগ তাঁর ৷

Dilip Ghosh
বাংলাদেশ ইস্যুতে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 6, 2024, 5:59 PM IST

দুর্গাপুর, 6 অগস্ট: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কতায় কান দিতে নারাজ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ৷ স্বভাবভঙ্গিতেই বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন তিনি ৷ শুধু মুখ খুললেই না, ওপার বাংলার হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে এবং তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর ৷ এমনকী বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে একযোগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানাতেও পিছপা হলেন না এই বিজেপি নেতা ৷

মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের (ইটিভি ভারত)

মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেন, "যদি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয় তাহলে এদেশেও তার প্রতিক্রিয়া পড়ার সম্ভাবনা আছে । মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে দিয়ে রাজ্যের সীমা সুরক্ষিত করুক ৷ কেবল বিএসএফের উপর ছেড়ে দিয়ে কাটমানি নিয়ে অনুপ্রবেশ করাবে, সোনা ও গরু পাচার করবে, তা চলবে না ৷ এগুলো এখনই বন্ধ হওয়া দরকার আছে ।"

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসেন শেখ হাসিনা ৷ এর পরেই ওপার বাংলার ইস্যু নিয়ে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রতিবেশী দেশের বিষয় বলে তিনি আগ বাড়িয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি । তিনি এই বিষয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বলেও সাফ জানান । এমনকী তিনি যেভাবে নিজে সতর্ক একইভাবে দলীয় নেতা এবং মন্ত্রীদেরও সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বিরোধী দলের নেতাদেরও বাংলাদেশ ইস্যুতে আলটপকা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন তিনি ৷ কিন্তু দিলীপ ঘোষ মমতার সেই সতর্কবার্তায় কান না দিয়ে 24 ঘণ্টার মধ্যেই ওপার বাংলা নিয়ে মন্তব্য করলেন ৷

এ দিন বিদ্যুৎ বিলের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে দুর্গাপুরের বিধান নগরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের অফিসে স্মারকলিপি জমা দেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা, কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার এবং বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও ।

তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দলের স্লোগান হল এগিয়ে বাংলা, তাহলে কি বিদ্যুতের বিলে এগিয়ে বাংলা ? জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধিতে এগিয়ে বাংলা ? খুন, ধর্ষণ, লুটপাটে এগিয়ে বাংলা ? এর আগে আমরা গণতন্ত্র বাঁচাও নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি । এখানে গণতন্ত্রের গলা টিপে দিয়ে, গণতন্ত্র নেই বলে দিল্লিতে গিয়ে চেঁচানো ওদের ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে । দিল্লিতে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বসে আন্দোলন করে বিরোধী সাংসদরা । আর পশ্চিমবঙ্গে এলে বিরোধী দলের ও সাধারণ মানুষের গণতন্ত্র হরণ করা হয় ।

তাঁর কথায়, "নির্বাচন এলে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেওয়া হবে না, প্রচার করতে দেওয়া হবে না, প্রচার হলে ভোট দিতে দেওয়া হবে না, এমনকী ভোট গুনতেও দেওয়া হবে না ৷ এমনই বিচিত্র গণতন্ত্র এ রাজ্যে । দুর্গাপুর পুরনিগম এলাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষের বাস । সেখানেও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা । এতদিন ধরে দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে রয়েছে । তবুও নির্বাচন হচ্ছে না । ভোট লুট করার চক্রান্ত চলছে ।"

দুর্গাপুর, 6 অগস্ট: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কতায় কান দিতে নারাজ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ৷ স্বভাবভঙ্গিতেই বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন তিনি ৷ শুধু মুখ খুললেই না, ওপার বাংলার হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে এবং তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর ৷ এমনকী বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে একযোগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানাতেও পিছপা হলেন না এই বিজেপি নেতা ৷

মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের (ইটিভি ভারত)

মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেন, "যদি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয় তাহলে এদেশেও তার প্রতিক্রিয়া পড়ার সম্ভাবনা আছে । মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে দিয়ে রাজ্যের সীমা সুরক্ষিত করুক ৷ কেবল বিএসএফের উপর ছেড়ে দিয়ে কাটমানি নিয়ে অনুপ্রবেশ করাবে, সোনা ও গরু পাচার করবে, তা চলবে না ৷ এগুলো এখনই বন্ধ হওয়া দরকার আছে ।"

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসেন শেখ হাসিনা ৷ এর পরেই ওপার বাংলার ইস্যু নিয়ে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রতিবেশী দেশের বিষয় বলে তিনি আগ বাড়িয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি । তিনি এই বিষয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বলেও সাফ জানান । এমনকী তিনি যেভাবে নিজে সতর্ক একইভাবে দলীয় নেতা এবং মন্ত্রীদেরও সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বিরোধী দলের নেতাদেরও বাংলাদেশ ইস্যুতে আলটপকা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন তিনি ৷ কিন্তু দিলীপ ঘোষ মমতার সেই সতর্কবার্তায় কান না দিয়ে 24 ঘণ্টার মধ্যেই ওপার বাংলা নিয়ে মন্তব্য করলেন ৷

এ দিন বিদ্যুৎ বিলের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে দুর্গাপুরের বিধান নগরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের অফিসে স্মারকলিপি জমা দেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা, কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার এবং বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও ।

তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দলের স্লোগান হল এগিয়ে বাংলা, তাহলে কি বিদ্যুতের বিলে এগিয়ে বাংলা ? জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধিতে এগিয়ে বাংলা ? খুন, ধর্ষণ, লুটপাটে এগিয়ে বাংলা ? এর আগে আমরা গণতন্ত্র বাঁচাও নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি । এখানে গণতন্ত্রের গলা টিপে দিয়ে, গণতন্ত্র নেই বলে দিল্লিতে গিয়ে চেঁচানো ওদের ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে । দিল্লিতে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বসে আন্দোলন করে বিরোধী সাংসদরা । আর পশ্চিমবঙ্গে এলে বিরোধী দলের ও সাধারণ মানুষের গণতন্ত্র হরণ করা হয় ।

তাঁর কথায়, "নির্বাচন এলে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেওয়া হবে না, প্রচার করতে দেওয়া হবে না, প্রচার হলে ভোট দিতে দেওয়া হবে না, এমনকী ভোট গুনতেও দেওয়া হবে না ৷ এমনই বিচিত্র গণতন্ত্র এ রাজ্যে । দুর্গাপুর পুরনিগম এলাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষের বাস । সেখানেও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা । এতদিন ধরে দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে রয়েছে । তবুও নির্বাচন হচ্ছে না । ভোট লুট করার চক্রান্ত চলছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.