ETV Bharat / state

উজ্জ্বল হবে দেশ, তাঁদের ভবিষ্যৎও ! প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত বর্ণা-মমতারা

দীপাবলিতে দেশ উজ্জ্বল হবে তাঁদের হাতের প্রদীপে ৷ আলো আসবে তাঁদের ঘরেও ৷ সেই আশাতেই সারাদিনের পরিশ্রম ভুলে নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন বর্ণা, মমতারা ৷

Diwali 2024
প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত বর্ণা, মমতারা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

রায়গঞ্জ, 25 অক্টোবর: আর মাত্র কয়েকদিন । তারপর মাটির প্রদীপের মিঠে আলোয় দেশজুড়ে পালিত হবে দীপাবলি । তার আগে প্রদীপ তৈরিতে নেমে পড়েছেন রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের মৃৎশিল্পীরা। ইতিমধ্যে আশেপাশের জেলাগুলিতে থেকে শুরু করে ভিনরাজ্যে যে সমস্ত প্রদীপ যাবে তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এতেই খুশির আবহ রায়গঞ্জের প্রদীপ প্রস্তুতকারীদের মধ্যে ।

সুভাষগঞ্জের এই প্রদীপ, বঙ্গের সীমানা টপকে হায়দরাবাদ, পুনে, গোয়া, বিহার, অসমেও পাড়ি দিয়েছে । ইতিমধ্যে কলকাতা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মালদা, বালুরঘাটেও প্রদীপ পাঠানো শুরু হয়েছে। রকমারি কারুকাজে নানা রঙের প্রদীপ তৈরি করছেন সুভাষগঞ্জের মহিলা শিল্পীরাও ।

উজ্জ্বল হবে দেশ, তাঁদের ভবিষ্যৎও ! (ইটিভি ভারত)

সুভাষগঞ্জের একটি প্রদীপ কারখানার মালিক রাজকুমার সাহা বলেন, ‘‘দীপাবলির জন্য বছরের এই মরশুমে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মাটির প্রদীপের বিপুল চাহিদা থাকে। কুমোরটুলি থেকে কয়েক দফায় ট্রাকে করে প্রদীপ গিয়েছে পুনে, হায়দরাবাদ, গুজরাত, গোয়া, অসমে । প্রতি পিস দেড় টাকা থেকে 30 টাকা পর্যন্ত নানা দামের, নানা ডিজাইনের প্রদীপ তৈরি হচ্ছে । আমাদের কাছে বাড়তি পাওনা আমাদের তৈরি প্রদীপের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে ভিনরাজ্যেও ।

মৃৎশিল্পীদের দাবি, বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন হাতে নয়, মেশিনের মাধ্যমে অত্যাধুনিক ডিজাইনের প্রদীপ তৈরি হচ্ছে । পরবর্তী সময়ে রোদে শুকিয়ে, ভাটিতে পোড়ানো হয় কাঁচামাটির প্রদীপগুলোকে । তারপর হাতের কাজে ফিনিশিং হচ্ছে আগুনে পোড়া প্রদীপ ।

মমতা পাল নামে এক মহিলা প্রদীপ শিল্পী বলেন, ‘‘সংসারের কাজ সেরে এখানে প্রদীপ বানাতে আসি । সারা বছরই আমরা প্রদীপ বানাই ৷ কিন্তু দীপাবলির আগে আমাদের কাজের চাপ বেশি থাকে । দিনে 100-150 টাকা উপার্জন হয় এই প্রদীপ বানিয়ে ।’’ অন্যদিকে বর্ণা পাল নামে আরেক প্রদীপ শিল্পী বলেন, ‘‘অনেকে হাতেও প্রদীপ বানায় ৷ কিন্তু আমরা এই মেশিনের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজাইনের প্রদীপ বানাচ্ছি । 100টি প্রদীপ বানালে 15 টাকা দেওয়া হয় আমাদের ।’’

আরও পড়ুন:

রায়গঞ্জ, 25 অক্টোবর: আর মাত্র কয়েকদিন । তারপর মাটির প্রদীপের মিঠে আলোয় দেশজুড়ে পালিত হবে দীপাবলি । তার আগে প্রদীপ তৈরিতে নেমে পড়েছেন রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের মৃৎশিল্পীরা। ইতিমধ্যে আশেপাশের জেলাগুলিতে থেকে শুরু করে ভিনরাজ্যে যে সমস্ত প্রদীপ যাবে তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এতেই খুশির আবহ রায়গঞ্জের প্রদীপ প্রস্তুতকারীদের মধ্যে ।

সুভাষগঞ্জের এই প্রদীপ, বঙ্গের সীমানা টপকে হায়দরাবাদ, পুনে, গোয়া, বিহার, অসমেও পাড়ি দিয়েছে । ইতিমধ্যে কলকাতা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মালদা, বালুরঘাটেও প্রদীপ পাঠানো শুরু হয়েছে। রকমারি কারুকাজে নানা রঙের প্রদীপ তৈরি করছেন সুভাষগঞ্জের মহিলা শিল্পীরাও ।

উজ্জ্বল হবে দেশ, তাঁদের ভবিষ্যৎও ! (ইটিভি ভারত)

সুভাষগঞ্জের একটি প্রদীপ কারখানার মালিক রাজকুমার সাহা বলেন, ‘‘দীপাবলির জন্য বছরের এই মরশুমে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মাটির প্রদীপের বিপুল চাহিদা থাকে। কুমোরটুলি থেকে কয়েক দফায় ট্রাকে করে প্রদীপ গিয়েছে পুনে, হায়দরাবাদ, গুজরাত, গোয়া, অসমে । প্রতি পিস দেড় টাকা থেকে 30 টাকা পর্যন্ত নানা দামের, নানা ডিজাইনের প্রদীপ তৈরি হচ্ছে । আমাদের কাছে বাড়তি পাওনা আমাদের তৈরি প্রদীপের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে ভিনরাজ্যেও ।

মৃৎশিল্পীদের দাবি, বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন হাতে নয়, মেশিনের মাধ্যমে অত্যাধুনিক ডিজাইনের প্রদীপ তৈরি হচ্ছে । পরবর্তী সময়ে রোদে শুকিয়ে, ভাটিতে পোড়ানো হয় কাঁচামাটির প্রদীপগুলোকে । তারপর হাতের কাজে ফিনিশিং হচ্ছে আগুনে পোড়া প্রদীপ ।

মমতা পাল নামে এক মহিলা প্রদীপ শিল্পী বলেন, ‘‘সংসারের কাজ সেরে এখানে প্রদীপ বানাতে আসি । সারা বছরই আমরা প্রদীপ বানাই ৷ কিন্তু দীপাবলির আগে আমাদের কাজের চাপ বেশি থাকে । দিনে 100-150 টাকা উপার্জন হয় এই প্রদীপ বানিয়ে ।’’ অন্যদিকে বর্ণা পাল নামে আরেক প্রদীপ শিল্পী বলেন, ‘‘অনেকে হাতেও প্রদীপ বানায় ৷ কিন্তু আমরা এই মেশিনের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজাইনের প্রদীপ বানাচ্ছি । 100টি প্রদীপ বানালে 15 টাকা দেওয়া হয় আমাদের ।’’

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.