নয়াদিল্লি, 10 সেপ্টেম্বর: আর্থিক তছরুপের মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷ 2023 সালের 26 এপ্রিল ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। দিল্লি হাইকোর্ট মঙ্গলবার সুকন্যার জামিনের আবেদন শুনানি ছিল ৷ শুনানির পর তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত ।
Delhi High Court grants bail to TMC's Anubrata Mondal's daughter Sukanya Mondal in a money laundering case.
— ANI (@ANI) September 10, 2024
(File photo) pic.twitter.com/jzJYHNpq1M
একনজরে ঘটনাপ্রবাহ:
- 2022 সালের 9 জানুয়ারি বীরভূম থেকে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ।
- 11 অগস্ট তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই ।
- 2023 সালের 24 মার্চ গরুপাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারী ।
- এরপর ওই বছর 26 এপ্রিল সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, সুকন্যাকে সম্পত্তির উৎস সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করেন অফিসাররা ৷ বিভিন্ন নথি ও স্বাক্ষর দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয় কীভাবে অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হল । প্রশ্নের উত্তরে সুকন্যার জবাব ছিল, তিনি কিছুই জানেন না । তাঁর বাবা ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারী সব জানেন । প্রশ্নের সদূত্তর না-পেয়েই দীর্ঘ জেরার পর সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডির অফিসাররা ৷ আর আজ তাঁকে দিল্লি হাইকোর্ট জামিন দেয় ৷
এদিকে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে আর্থিক তছরূপের মামলাতেও গ্রেফতার হয়েছিল অনুব্রত ৷ সিবিআই অবশ্য সুকন্যাকে গ্রেফতার করেনি ৷ জানা গিয়েছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের যৌথ একটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন সুকন্যা। সেই সংস্থার হিসাবরক্ষক ছিলেন মণীষ কোঠারী ৷ এই কোম্পানিতে গরু পাচারের টাকা খাটানো হয়েছে । তদন্তে নেমে এমনটাই পেয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা ৷ আর তাই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে ৷
তবে ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিয়েছে। তারপরেই ইডির দায়ের করা মামলায় মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল জামিন পেলেন ৷ স্বাভাবিকভাবেই এবার ইডির মামলায় অনুব্রত জামিন পাবেন, এই আশায় বুক বেঁধেছেন বীরভূম জেলায় তাঁর অনুগামীরা। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী নেতা-কর্মীরা।