কৃষ্ণনগর, 18 সেপ্টেম্বর: আরজি করের চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ৷ সেই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের ভিতরেই মদ্যপানের অভিযোগ উঠল মঙ্গলবার রাতে ৷ ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ৷
আরজি করের ঘটনায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা ৷ কিন্তু এই ক্ষেত্রে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় ৷ হাসপাতাল চত্বরে মদ্যপানের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাজা মিত্র ও অমিয় বিশ্বাস ৷ তাঁদের বাড়ি কৃষ্ণনগরের হাটখোলাপাড়ায় ৷ তাঁরা পূর্ত দফতরের ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত ৷
আরজি করের ঘটনায় হাসপাতালের চারতলায় সেমিনার হলে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় দাসের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল ৷ বিশেষ করে ধর্ষণ-খুনে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের হাসপাতালের মধ্যে অবাধ যাতায়াত নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল ৷ তার পরও কি প্রশাসন হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন ? না হলে পূর্ত দফতরের ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্তরা কীভাবে হাসপাতালের মধ্যে অবাধে ঢুকে যান এবং সেখানে মদ্যপান করেন ?
যদিও কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত সরকার জানান, হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই ইলেকট্রিক এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রের অফিস রয়েছে ৷ সেখানেই মদ্যপানের ঘটনাটি ঘটে ৷ এর সঙ্গে হাসপাতালের কোনও কর্মী যুক্ত নন ৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে পুরো বিষয়টি বিবরণ দিয়েছি । এবং হাসপাতালের তরফ থেকে যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে ।’’
হাসপাতালের মধ্যে যেখানে পূর্ত দফতরের ওই অফিস রয়েছে, তার কাছেই নার্সিং হস্টেল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ তাছাড়া হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসক থেকে অন্য কর্মীরা এবং রোগীর আত্মীয়দের আনাগোনা সারাক্ষণ হতে থাকে ৷ ফলে সেখানে কীভাবে মদ্যপানের আসর বসল, সেই প্রশ্ন উঠেছে ৷ সেই নিয়ে জানতে গেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পূর্ত দফতরের কর্মীদের সঙ্গে সাংবাদিকদের বচসা হয় ৷
তবে এই নিয়ে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়র রাজর্ষি বসু মল্লিক এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ তবে তিনি ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন ৷ এদিকে বুধবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতে পেশ করা হয় ৷ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ জানা যায়নি ৷