কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: বাংলার পর এবার ইংরেজি ৷ ফের মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল। শনিবার ছিল মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা ৷ এদিন পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল প্রশ্নপত্র ৷ তবে এবার ভাইরাল প্রশ্নপত্রে পর্ষদের নতুন ব্যবস্থা অর্থাৎ 'কিউআর কোড'গুলিকে লাল কালি দিয়ে কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে । শুক্রবার বাংলা প্রশ্ন ফাঁসের পর 'কিউআর কোড'-এর মাধ্যমেই অভিযুক্তদের সনাক্ত করেছিল পর্ষদ ৷ তবে ইংরেজি প্রশ্নের ক্ষেত্রে যেহেতু 'কিউআর কোড' কাটা অবস্থায় ছিল এখন কীভাবে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয় সেদিকে তাকিয়ে সকলে ৷
জানা গিয়েছে, ইংরেজি পরীক্ষায় আলাদা করে উত্তর লেখার জন্য খাতা দেওয়া হয় না ৷ কারণ ইংরেজি প্রশ্নপত্রের মধ্যেই উত্তর লিখতে হয় পরীক্ষার্থীদের। এদিন পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই এই ইংরেজি প্রশ্নের একটি পাতা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষা শেষের পর এই বিষয়ে বেশ কিছু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে ইটিভি ভারত । পরীক্ষার্থী জানায়, ভাইরাল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পুরো মিল রয়েছে তাদের প্রশ্নপত্রের ৷ এই বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে ফোন করা হয় ৷ তবে তিনি ফোন ধরেননি ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ আর পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই বাংলা প্রশ্নপত্র সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে । প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই 'কিউআর কোড'কে কাজে লাগিয়ে এই ঘটনায় জড়িত দু'জন ছাত্রকে সনাক্ত করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । ওই দু'জন পরীক্ষা দিয়েছিল মালদা জেলার রায়গ্রাম হাইস্কুল ইংরেজ বাজার 3 এবং বেদদ্রাবাদ হাইস্কুল লক্ষ্মীপুর 6 থেকে । তারাই সেই প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় বলেই জানিয়েছিল পর্ষদ । ওই দু'জন ছাত্রের পরীক্ষা এই বছরের জন্য বাতিল করে দেয় পর্ষদ ।
আরও পড়ুন: