ক্যানিং, 30 সেপ্টেম্বর: সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুতে উত্তেজনা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ৷ কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রী ৷ তাঁর অভিযোগ, স্বামীর শ্বাসকষ্ট থাকলেও, তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি ৷ তাঁর স্বামী সম্পূর্ণ সুস্থ বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ সোমবার ভোরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, আবারও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁর স্বামীকে ৷ তবে, চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা ভুবন মণ্ডল ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন ৷ তাঁর কেমোথেরাপি চলছিল ৷ রবিবার বিকেলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ৷ শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায়, ক্যানিং থানার আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ভুবনের স্ত্রী গঙ্গা মণ্ডল ৷ পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ভুবন মণ্ডলকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার ৷ সেখানে চিকিৎসক ভুবনের শারীরিক পরীক্ষা করে, তাঁকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে জানান ৷ মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রীর অভিযোগ, তখনও ভুবন মণ্ডলের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল ৷ সেই নিয়ে চিকিৎসককে প্রশ্ন করায় তিনি জানান, ভয় ও টেনশনের কারণে তাঁর এমন মনে হচ্ছে ৷
ভুবন মণ্ডলকে এরপর ছেড়ে দেন হাসপাতালের চিকিৎসক ৷ এরপর এ দিন ভোরবেলায় ভুবন মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় ৷ তখন আবারও, ভুবনকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসক ভুবনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ এরপরেই পরিবারের লোকজন রবিবার বিকেলে দায়িত্বে থাকা ওই চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ওই চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই ভুবন মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে ৷ এমনকি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ এমনই অভিযোগ করেছেন মৃতের স্ত্রী ৷
যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ খারিজ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছে, "অসুস্থ অবস্থায় যখন ভুবন মণ্ডলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, চিকিৎসকরা তখনই চিকিৎসা শুরু করেন ৷ চিকিৎসার কোনও গাফিলতি হয়নি ৷ পরিবারের পক্ষ থেকে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে ৷ যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়, তাহলে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে ৷ কারও দোষ সামনে এলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আমরা নেব ৷"