কলকাতা, 21 জুলাই: ‘‘এই সরকার অল্পদিনের অতিথি ৷ কয়েকদিন পরেই দেখবেন নয়াদিল্লির সরকার পরে গিয়েছে ৷ সেদিন বেশি দূরে নেই ৷ তাড়াতাড়িই এই দৃশ্য আপনারা দেখতে পাবেন ৷’’ তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপি’কে একহাত নিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব ৷
এদিন এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে যান তিনি ৷ সেখান থেকে সরাসরি সভামঞ্চে পৌঁছেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন সমাজবাদী পার্টির সহ-সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মৎস্যমন্ত্রী কিরণময় নন্দও । সপারিষদে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে এসে বিরোধী জোটের বাঁধন আরও শক্ত করলেন মুলায়ম-পুত্র ৷
বৃষ্টিস্নাত ধর্মতলায় মিনিট দশেকের ঝরঝরে বক্তব্যে অখিলেশের প্রথমার্ধ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের প্রশংসায় ৷ দ্বিতীয়ার্ধ দিলেন বিজেপির সমালোচনায় ৷ 2021 বিধানসভা নির্বাচনে পা ভেঙেছিল ৷ হুইলচেয়ারে বসে প্রচার সেরেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ বিরাট ব্যবধানে জিতে তৃতীয়বার রাজ্যের মসনদে ফিরেছে তৃণমূল ৷ তা নিয়েই দু’কলি লিখেছিলেন অখিলেশ ৷ একুশের মঞ্চে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো বললেন, ‘‘এক আকেলি লড় জায়েগি, জিতেগি অর বঢ় জায়েগি ৷ একা লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা’দি ৷ তাঁর দলের বটবৃক্ষ হয়ে ওঠার পিছনে তিনি মূল কাণ্ডারি ৷’’
প্রাণ দেওয়ার মতো কর্মী খুব কম থাকে...
তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ তর্পণে অংশ নিয়ে তিনি জানান, ‘প্রাণ দেওয়ার মতো কর্মী খুব কম থাকে ৷ সব দলের এই সৌভাগ্য হয় না ৷ আপনাদের কাছে এরকম কর্মী রয়েছে ৷ কর্মীরাই দলের মূল, তাঁরাই দলের একমাত্র চালিকাশক্তি ৷’’ একই ইস্যুতেই বিজেপিকেও একহাত নিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপির নেতিবাচক দল ৷ ওদের কোনও শহিদ নেই, ভালো লোক নেই ৷ তাই ওদের শহিদও ধার নিতে হয় ৷ অন্য দলের শহিদ হওয়া কর্মীকে ওরা নিজেদের বলে চালিয়ে দেয় ৷’’