মুর্শিদাবাদ, 29 জুন: সরাকারি স্কুলও এবার যেন মস্তি কি পাঠাশালা ! স্কুলে গলদঘর্ম হওয়ার দিন শেষ ৷ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম ৷ গরমে নাজেহাল সকলে ৷ জুনের শেষেও মেলেনি গরম থেকে রেহাই ৷ গরমের ছুটি শেষে স্কুলে ফিরেছে পড়ুয়ারা ৷ কিন্তু গরমের কারণে স্কুলে ছাত্রছাত্রী উপস্থিতির হার খুবই কম। ছাত্র ও ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভার রসোড়া অম্বিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৷ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেওয়া আর্থিক অনুদানে স্কুলে সমস্ত ক্লাসে বসানো হল এয়ার কন্ডিশনার ৷
এই স্কুলে 900 জন পড়ুয়া রয়েছে ৷ পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়। কিন্তু, তীব্র গরমের কারণে গ্রীষ্ণকালীন ছুটির পরে স্কুল খুললেও পডুয়াদের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের পরিচালন সমিতি এবং শিক্ষকরা উদ্যোগী হয় পডুয়াদের স্কুলমুখী করতে ৷ গরমে কথা ভেবে প্রধান শিক্ষক স্কুলে এসি লাগানোর প্রস্তাব দেন ৷ কান্দি পৌরসভা চেয়ারম্য়ান জয়দেব ঘটক ও কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন তিনি। সম্মতি মেলার পর শিক্ষকরা তাঁদের বেতনের টাকা থেকে এবং স্কুলে শিক্ষকদের কো-অপারেটিভ ফান্ড থেকে 3 লক্ষ 73 হাজার টাকা দিয়ে আটটি এসি কেনা হয় ৷ সেগুলি বিভিন্ন ক্লাসরুমে লাগানো হয়।
এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপ্তেন্দু ধর বলেন, "স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই ক্লাস শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে । ক্লাসে পড়ুয়াদের সংখ্যা কমে যাচ্ছিল, যার কারণে পঠন-পাঠানের মানও কম ছিল। গরমে ছাত্রছাত্রীদের কষ্টের কথা ভেবে আমরা ক্লাসরুমে এসি বসানোর সিদ্ধান্ত নিই। বিষয়টি আমরা প্রথমে বিদ্যালয়ে পরিদর্শক ও পুরসভা ও স্থানীয় বিধায়ককে জানায়। তাদের সহযোগিতায় আপাতত আটটি এসি বসানো হয়েছে ৷ ৷" গরম থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে শিক্ষকদের এই উদ্যোগে খুশি ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক সকলেই।