কলকাতা, 22 অক্টোবর: লক্ষ্মী পুজো পেরিয়ে গেলেও ট্রাম পরিষেবা শুরু না হওয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল ট্রামপ্রেমীদের মনে ৷ তাহলে কি ট্রাম বন্ধই হয়ে গেল ? তবে মঙ্গলবার থেকে ফের চালু হচ্ছে ট্রাম পরিষেবা ৷
যানজটের কারণে পুজোর দিনগুলিতে ট্রাম চলবে না এই কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। তবে পুজোর পরই দ্রুত পরিষেবা চালুর আশ্বাস দিয়েছিল পরিবহণ দফতর ৷ সেই প্রতিশ্রুতি মেনেই পুজোর সাময়িক বিরতির পর মঙ্গলবার থেকে শহরের দুটি রুটে চালু হচ্ছে ট্রাম পরিষেবা ৷ আজ থেকে ফের 25 নম্বর রুট (গড়িয়াহাট-ধর্মতলা) আর 5 নম্বর রুটে (শ্যামবাজার-ধর্মতলা) চালু হচ্ছে ট্রাম ৷
গত বছর ট্রাম কলকাতার পুজো পরিক্রমার অঙ্গ হিসেবে থাকলেও এই বছর পুজোয় বন্ধই ছিল কলকাতার ঐতিহ্যের এই পরিবহণ। পুজোর কটা দিন রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় গত 9 অক্টোবর থেকে 15 অক্টোবর পর্যন্ত ট্রাম পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিবহণ দফতর। কিন্তু, তার পরেও প্রায় এক সপ্তাহ দেরি হল ট্রামের চাকা গড়াতে ৷ পরিবহণ দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, যেহেতু ট্রাম কর্মী ও চালকরা ছুটিতে গিয়েছিলেন, তাই কিছু 'অপারেশনাল' কারণে ট্রাম চালাতে নির্ধারিত সময়ের চেয়েও কিছুটা বেশি সময় লাগল।
তবে পরিবহণ দফতরের দেওয়া এই ব্যাখ্যাকে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম গবেষক ও ট্রাম-প্রেমী ডক্টর দেবাশিষ ভট্টাচার্য, যিনি ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ৷ তিনি দাবি করেন, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে 15 অক্টোবর পর্যন্ত সরকারিভাবে ট্রামের পরিষেবা বন্ধ থাকলেও তার পরের দিন অর্থাৎ 16 অক্টোবর থেকেই কন্ডাক্টরদের ব্যাগ ইস্যু হওয়া শুরু হয়। প্রসঙ্গত, এই ব্যাগেই কন্ডাক্টররা সারাদিন তাঁদের ট্রামের ভাড়া ও টিকিট রাখেন ৷ আবার দিনের শেষে ডিপোতে ব্যাগটি জমা করে দিতে হয়। তাই দিনের ডিউটি রস্টার দেওয়া হলেই এই ব্যাগটি ইস্যু করা হয়ে থাকে। এছাড়াও, সিটিসি কন্ট্রোল থেকে ট্রাম চালু করার কোনও নির্দেশ বা ক্লিয়ারেন্সও দেওয়া হয়নি। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, 15 অক্টোবরের পরেও পরিষেবা চালু হচ্ছে না কেন, সে বিষয়ে ট্রামের চালক ও কন্ডাকটররাও অন্ধকারেই ছিলেন।