মালদা, 20 অগস্ট: জুনিয়র চিকিৎসকদের পর এবার মালদা মেডিক্যালে কর্মবিরতি শুরু করলেন অস্থায়ী কর্মীরা। অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, দেড় মাস ধরে তাঁরা বেতন পাননি। নতুন কোম্পানির অধিনে কাজ দেওয়ার জন্য তাঁদের থেকে ঘুষ চাওয়া হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়েই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা ৷ এর ফলে সমস্যায় পড়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। অস্থায়ী কর্মীদের বুঝিয়ে কর্মবিরতি তোলার চেষ্টাও চলছে।
এক অস্থায়ী কর্মী সুমন দাস বলেন, "আমরা করোনার সময় থেকে মেডিক্যালে কাজ করছি। আগে আমরা অন্য একটি কোম্পানির অধীনে কাজ করতাম। 1 জুলাই থেকে নতুন কোম্পানি দায়িত্ব নেয়। কিন্তু, আমাদের কাজে রাখা হয়েছে কিনা সে সংক্রান্ত কোনও নিয়োগপত্র আজও আমরা হাতে পাইনি। উলটে ওই কোম্পানির দায়িত্বে থাকা লোকজন আমাদের থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা করে দাবি করেছে। সোজা ভাষায় বলতে গেলে, নতুন কোম্পানির অধীনে কাজ করার জন্য আমাদের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে প্রিন্সিপাল ও মেডিকেল সুপারকে জানিয়েছি। কিন্তু, তারপরেও কোন কাজ না হওয়ায় আজ থেকে আমরা 148 জন কর্মী কর্মবিরতি শুরু করেছি।"
আন্দোলনরত এক অস্থায়ী কর্মী কিরণ সরকার বলেন, "আমরা গত মাসের বেতন এখনও পাইনি। নতুন কোম্পানির কাজের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের এখনও নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়নি। গত 14 অগস্ট আমরা প্রিন্সিপাল, মেডিকেল সুপারের কাজে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু, কোনও ফল মেলেনি। বাধ্য হয়ে আজ থেকে আমরা কর্মবিরতি শুরু করেছি।"
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, "আজ মেডিক্যালের একাংশ অর্থাৎ ট্রমা কেয়ার বিল্ডিংয়ে অস্থায়ী কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তাঁদের বেতন সংক্রান্ত কিছু সমস্যা হয়েছে। অস্থায়ী কর্মীদের বোঝানোর পাশাপাশি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ট্রমা কেয়ার বিভাগের ফেসিলিটি ম্যানেজমেন্ট একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে করানো হয়। এক কোম্পানির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন কোম্পানি সেই দায়িত্ব পেয়েছে। কাজ করার জন্য ঘুষ চাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি। অস্থায়ী কর্মীদের কাজে যোগদানের জন্য আমরা আবেদন করেছি ।"