দুর্গাপুর, 11 সেপ্টেম্বর: দিল্লির রেলের ঠিকাদার মুকেশ চাওলার গাড়ি থেকে এক কোটি এক লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চলতি মাসের 6 তারিখ গ্রেফতার হয় দুর্গাপুর থানায় কর্তব্যরত এএসআই অসীম চক্রবর্তী, সিআইডির বম্ব স্কোয়াডের এসআই চন্দন চৌধুরী, বরখাস্ত হওয়া এইট ব্যাটেলিয়ানের কর্মী মৃত্যুঞ্জয় সরকার-সহ ছয়জন।
তদন্তের ভিত্তিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের তমলুক থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও একজন। ধৃত ব্যক্তির নাম মধুসূদন বাগ। মঙ্গলবার রাতে তমলুকের বাড়িতে ফিরতেই তাঁকে ধরে ফেলে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। বুধবার পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃত মধুসূদন বাগকে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে । এই 'চিটিং গ্যাং'-কে ধরতে পুলিশ ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতেও লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, "এই প্রতারণা চক্রে কমিশনের লোভে আরও অনেকে যুক্ত রয়েছে। ভিন রাজ্যেও রয়েছে তারা। আমাদের তল্লাশি চলছে।"
দিল্লির ব্যবসায়িক টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার রহস্যের জাল ক্রমশ গুটিয়ে আনছে দুর্গাপুর থানা তদন্তকারী অফিসাররা। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, এই চক্রটি কি এই প্রথমবার এই ধরণের অপরাধমূলক কাজ করেছে, নাকি এর আগেও এই চক্রের দ্বারা বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন ? এই চক্রে গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কর্মীদের ভূমিকাই বা কী ছিল ? তা-ও পুলিশের কাছে স্পষ্ট করে জানতে চাইছে সাধারণ মানুষ । যদিও, দুর্গাপুর থানার এএসআই অসীম চক্রবর্তী গ্রেফতার হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বলেছিলেন, "আমি ওই রাতে দুর্গাপুর থানার টেবিল ডিউটিতে ছিলাম। আমি ফোন পেয়ে শুধুমাত্র সেই রাতে হাইওয়ে পেট্রলিং থাকা পুলিশ গাড়িটিকে সাহায্য করার কথা বলেছিলাম। এই কথা আমি আমার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। এটাই আমার বড় অপরাধ হয়ে গিয়েছে।"