ETV Bharat / state

হাওয়া বুঝে বিরোধী জোটের পাশে, মমতাকে সুবিধাবাদী তকমা অধীরের - Lok Sabha Election 2024 - LOK SABHA ELECTION 2024

Adhir Ranjan Chowdhury on Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিয়েছে তৃণমূল। জোটের শরিক কংগ্রেসও। কিন্তু বাংলায় অধীর চৌধুরীদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি ঘাসফুল শিবিরের। রাজ্যের 42 আসনে একাই লড়ছে তৃণমূল। রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট থেকে কার্যত মুখ ঘুরিয়ে নেন তৃণমূন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে সম্প্রতি তিনি ইন্ডিয়া জোটের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ৷ এরপরই অধীরের সংযোজন, ইন্ডিয়া জোট ছাড়া মমতার অস্তিত্ব নেই ৷

Adhir Ranjan Chowdhury on Mamata Banerjee
অধীর চৌধুরী (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 16, 2024, 10:37 PM IST

কলকাতা, 16 মে: "ইন্ডিয়া জোট ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসহায় ৷" বৃহস্পতিবার এ কথাই বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথির সভা থেকে 'পাশে থাকার বার্তা' দিয়েছেন। তারপরেই মুখ খোলেন অধীর। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝেছেন ইন্ডিয়া জোট ছাড়া তাঁর আর কোনও অস্তিত্ব নেই। সেই অস্তিত্বরক্ষা করার জন্য এখন সব জায়গায় গিয়ে বলেছেন বাইরে থেকে উনি ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে রয়েছেন। আর এই ইন্ডিয়া জোটের প্রতি মানুষের সহানুভূতি বাড়ছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ওটাকে কাজে লাগিয়ে কিছু ভোট হাতে রাখার চেষ্টার করছেন।"

প্রদেশ কংগ্রেসের মতে, হাওয়া বুঝে সুর পালটেছেন মমতা। তাঁর সংখ্যালঘু ভোট কমেছে। তাই এখন ফেরার বার্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেছিলেন কংগ্রেস 40টার বেশি আসন পাবে না। তাই তিনি ইন্ডিয়া জোট ছেড়েছিলেন। ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে প্রথম পালিয়েছেন নীতিশ কুমার। তালিকার দ্বিতীয় নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক এর বিপরীতে হেমন্ত সোরেন এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে জেলে গেলেন। তাই কে সুবিধাবাদী সেটা মানুষ বুঝেছেন। হাওয়া বুঝে বাজার যখন উলটো দিকে যাচ্ছে তখন তিনি অন্য সুর ধরলেন। কিন্তু এই বিরোধী সুরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সকল সংখ্যালঘু ভোট হারিয়েছেন। তাই এখন আবার পাশে আছি, বলে বার্তা দিচ্ছেন।"

এর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি 2019 সালের ভোটের একটি মেরুকরণ নিয়ে কথা বলেন। তিনি একটি হিসেব তুলে ধরেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, 2019 সালে বিজেপি পেয়েছিল 37 শতাংশ ভোট আর বিরোধীরা পেয়েছিল প্রায় 63 শতাংশ ভোট। পাটিগণিত বলে যদি বিরোধীর একসঙ্গে হয়, তাহলে 63 শতাংশ ভোটের মালিক তারা। তাদের জেতার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে অধীরের কথায়, "বিরোধীরা যখন একত্রিত হওয়া শুরু করেছিল তখন সব থেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাই নরেন্দ্র মোদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় দেখিয়ে ইন্ডিয়া জোট থেকে বার করতে পেরেছিলেন।"

আরও পড়ুন:

  1. সরকার গঠনে ইন্ডিয়া জোটকে বাইরে থেকে সাহায্য করবে তৃণমূল, দাবি মমতার
  2. ইন্ডিয়া জোটেই আছি, থাকব ! 'বাইরে থেকে সমর্থন' তত্ত্ব সরিয়ে অন্য সুর মমতার
  3. 'মমতা তুমি কত টাকায় বিক্রি হও', অভিজিতের মন্তব্যে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

কলকাতা, 16 মে: "ইন্ডিয়া জোট ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসহায় ৷" বৃহস্পতিবার এ কথাই বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথির সভা থেকে 'পাশে থাকার বার্তা' দিয়েছেন। তারপরেই মুখ খোলেন অধীর। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝেছেন ইন্ডিয়া জোট ছাড়া তাঁর আর কোনও অস্তিত্ব নেই। সেই অস্তিত্বরক্ষা করার জন্য এখন সব জায়গায় গিয়ে বলেছেন বাইরে থেকে উনি ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে রয়েছেন। আর এই ইন্ডিয়া জোটের প্রতি মানুষের সহানুভূতি বাড়ছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ওটাকে কাজে লাগিয়ে কিছু ভোট হাতে রাখার চেষ্টার করছেন।"

প্রদেশ কংগ্রেসের মতে, হাওয়া বুঝে সুর পালটেছেন মমতা। তাঁর সংখ্যালঘু ভোট কমেছে। তাই এখন ফেরার বার্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেছিলেন কংগ্রেস 40টার বেশি আসন পাবে না। তাই তিনি ইন্ডিয়া জোট ছেড়েছিলেন। ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে প্রথম পালিয়েছেন নীতিশ কুমার। তালিকার দ্বিতীয় নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক এর বিপরীতে হেমন্ত সোরেন এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে জেলে গেলেন। তাই কে সুবিধাবাদী সেটা মানুষ বুঝেছেন। হাওয়া বুঝে বাজার যখন উলটো দিকে যাচ্ছে তখন তিনি অন্য সুর ধরলেন। কিন্তু এই বিরোধী সুরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সকল সংখ্যালঘু ভোট হারিয়েছেন। তাই এখন আবার পাশে আছি, বলে বার্তা দিচ্ছেন।"

এর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি 2019 সালের ভোটের একটি মেরুকরণ নিয়ে কথা বলেন। তিনি একটি হিসেব তুলে ধরেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, 2019 সালে বিজেপি পেয়েছিল 37 শতাংশ ভোট আর বিরোধীরা পেয়েছিল প্রায় 63 শতাংশ ভোট। পাটিগণিত বলে যদি বিরোধীর একসঙ্গে হয়, তাহলে 63 শতাংশ ভোটের মালিক তারা। তাদের জেতার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে অধীরের কথায়, "বিরোধীরা যখন একত্রিত হওয়া শুরু করেছিল তখন সব থেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাই নরেন্দ্র মোদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় দেখিয়ে ইন্ডিয়া জোট থেকে বার করতে পেরেছিলেন।"

আরও পড়ুন:

  1. সরকার গঠনে ইন্ডিয়া জোটকে বাইরে থেকে সাহায্য করবে তৃণমূল, দাবি মমতার
  2. ইন্ডিয়া জোটেই আছি, থাকব ! 'বাইরে থেকে সমর্থন' তত্ত্ব সরিয়ে অন্য সুর মমতার
  3. 'মমতা তুমি কত টাকায় বিক্রি হও', অভিজিতের মন্তব্যে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.