বংশীহারি, 5 ফেব্রুয়ারি: নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার সরকারি আইনজীবী ৷ অভিযুক্তের নাম প্রতুল মৈত্র। তিনি বুনিয়াদপুরে অবস্থিত গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর । সরকারি আইনজীবীর পাশাপাশি তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন। শ্লীলতাহানি মামলায় শনিবার রাতে বংশীহারী থানার পুলিশ অভিযুক্ত আইনজীবীকে গ্রেফতার করে । রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। মহকুমা আদালত অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দু'দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷
জানা গিয়েছে, নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের মামলা চলছিল আদালতে ৷ সেই মামলায় তিনমাস আগে সরকারি আইনজীবী প্রতুল মৈত্রের কাছে গোপন জবানবন্দি দিতে এসেছিল এই নাবালিকা ৷ মা-বাবার অবর্তমানে সেসময় মেয়েটিকে শ্লীলতাহানি করেন সরকারি আইনজীবী বলে অভিযোগ ৷ নাবালিকার বাবার এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সরকারি আইনজীবীকে গ্রেফতার করে ।
সূত্রের খবর, শনিবার বিকেলে বুনিয়াদপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত থেকেই পুলিশ সরকারি আইনজীবী প্রতুল মৈত্রকে থানায় নিয়ে যায় । রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় । এরপর তাঁকে বংশীহারি থেকে হরিরামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । বংশীহারি থানার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে পকসো, চাইল্ড প্রটেকশন অ্যাক্ট-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে । প্রতুল মৈত্রের বিরুদ্ধে এর আগে অভিযুক্তদের জামিন পাইয়ে দিতে সাহায্য করা এবং ধর্ষিতা মহিলাকে সত্য ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ।
গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রঞ্জন মিত্র বলেন, "সরকারি আইনজীবির বিরুদ্ধে এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক । মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে । তবে আইন আইনের পথেই চলবে । ঘটনার সত্যতা কতটা রয়েছে তা কোর্টে বিচার্য বিষয় । এমনকী অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, আইন আইনের পথেই চলবে । গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত দু'দিনে পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে এবং আগামী মঙ্গলবার তাঁকে আবারও মহকুমা আদালতে তোলা হবে ৷ আশা করি ওই দিন তাঁর বেল মঞ্জুর হবে।" জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল প্রতুল মৈত্রের গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে জানান, পকসো মামলায় শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: