কলকাতা, 10 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত ৷ গ্রেফতারের পর শনিবার তাকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের তরফে সওয়াল করার জন্য কোনও আইনজীবী রাজি হননি। শুনানির পর বিচারক অভিযুক্তকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ৷
আরজি করের ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে ৷ শুক্রবার সকালে কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এই হাসাপাতাল থেকে তরুণী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয় ৷ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল ৷ প্রথম থেকেই পরিবার দাবি করেছে, তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে শুরু করে ঘটনাক্রম ক্রমশ সেদিকেই দিগদনির্দেশ করছে ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ৷ একটি সিসিটিভিতে তাকে হাসপাতালে ঢুকতে দেখা যায়। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দেখা যায় ঘটনার আগে রাত 11টা নাগাদ সে একবার হাসপাতালে ঢুকলেও পরে বেরিয়ে যায়। তারপর ফের ভোর 4টে নাগাদ হাসপাতালে প্রবেশ করে। সেই সময় তার কাছে একটি ব্লুটুথ হেডফোন ছিল ৷ কিন্তু বেরনোর সময় সেটা দেখা যায়নি। মৃত চিকিৎসকের দেহের কাছে হেডফোনের তারের অংশ মিলেছে ৷ সেই সূত্রে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ৷ তদন্তকারীদের অনুমান, দ্বিতীয়বার প্রবেশের আগে সে মদ্যপান করেছিল ৷
এদিকে এই ঘটনার জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আরজি কর হাসপাতাল ৷ 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগানে মুখরিত হল হাসপাতাল চত্বর ৷ বিক্ষোভকারী পড়ুয়া চিকিৎসকদের আন্দোলন সামলাতে কার্যত হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে পুলিশ ৷ হাসপাতালের বাইরে আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে ৷ বিক্ষোভে সামিল বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ ৷ প্রতিবাদকারী চিকিৎসকদের অবশ্য দাবি, এই আন্দোলন চিকিৎসকদের আন্দোলন ৷ হাসপাতালের ভিতরে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্যকে ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷